আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। প্রশ্নটা খুবই লজ্জাজনক এবং বিব্রতকর। তবুও করতে হচ্ছে।

১।ছেলের  ওয়াস ওয়াসার সমস্যা আছে।সে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে ছিল। এমতাবস্থায় তার মা তার কাছে আসেন এবং শরীরে হাত দিয়ে জ্বর পরিমাপ করার চেষ্টা করেন।তার মা তা শরীরে হাত দেয়ার সাথে সাথে ওয়াস ওয়াসার কারণে তার হুরমত সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।কিন্তু তার মধ্যে  কোনো বাজে চিন্তা ছিল না।তবুও সে তার লিঙ্গের মধ্যে কিছু একটা অনুভব করে।লিঙ্গ শক্ত /উত্থিত হুওয়া শুরু করছে এরকম।এরপরই হঠাৎ তার মধ্যে কামভাব চলে আসে এবং একবারেই সামান্য পরিমাণে উত্তেজনা অনুভব করে, সেটাও অল্প সময়ের জন্য।কিন্তু এই উত্তেজনার কারণে তার লিঙ্গের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়ে নি।তবে আগে যে লিঙ্গ শক্ত/উত্থিত হতে শুরু করেছিল তখনও এমনটা চলছিল।(তার প্রবল ধারণা এমনটা উত্তেজনার কারণে হচ্ছিল না বরং আগের প্রক্রিয়াটিই চলমান ছিল)।এরপরেই সে তার মাকে অনুরোধ করলে তিনি শরীর থেকে হাত সরিয়ে নেন।এরপর তার লিঙ্গ স্বাভাবিক হয়ে যায়।(পুরো সময়ে তার লিঙ্গ পুরাপুরিভবে উত্থিত ত হয় নি বরং উত্থিত/শক্ত অবস্থার পঁাচ ভাগের একভাগও হয় নি।শুধু শক্ত/উত্থিত  হতে  শুরু করছিল কিন্তু তার লিঙ্গ পুরো সময়েই  আগের মতই অন্ডোকোষের সাথেই লাগানো অবস্থায় ছিল।)এখন এর কারণে কি হুরমত সাব্যস্ত হবে?

২।(এরকম হয় নি, শুধু জানার জন্য)  যদি এরকম হয় যে স্পর্শ লাগার কারণে সামান্য কামভাব /উত্তেজনা হচ্ছে আর উত্তেজনার কারণেই লিঙ্গ উত্থিত হতে শুরু করছে কিন্তু এরকম শুরু করার সাথে সাথেই, অর্ধেক পরিমান উত্থিত হওয়ার আগেই হাত সরিয়ে ফেলা হয় এবং লিঙ্গ আর উত্থিত না হয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায় সেক্ষত্রে কি হুরমত সাব্যস্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য হানাফি ফিকহে কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে।সেগুলো লক্ষণীয়। 
উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে মহিলাকে স্পর্শ করা হবে, বা স্পর্শ হয়ে যাবে, তারপ্রতি কামভাব থাকতে হবে। যদি তার প্রতি কামভাব না থাকে, তাহলে হুরমত প্রমাণিত হবে না। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় যদি ঐ ছেলের তার মায়ের প্রতি কামভাব না থাকে, তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ প্রমাণিত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...