حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ بَكَّارِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخْبَرَنِي أَبِي عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا جَاءَهُ أَمْرُ سُرُورٍ أَوْ بُشِّرَ بِهِ خَرَّ سَاجِدًا شَاكِرًا لِلَّهِ صحيح
আবূ বাকরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কোনো খুশির খবর আসলে অথবা তিনি কোনো সুসংবাদ পেলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়াস্বরূপ সাজদাহয় পড়ে যেতেন।
سجد كعب بن مالك رضي الله عنه حين جاءه خبر توبة الله عليه . رواه البخاري (4418) ومسلم (2769) .
হযরত কা'আব বিন মালিক রাঃ এর কাছে যখন তওবা কবুলের খবর এসেছিলো,তখন তিনি সেজদাহ করেছিলেন।
وسجد أبو بكر رضي الله عنه شكرا حين جاءه خبر قتل مسيلمة الكذاب .
হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাঃ সেজদায় শোকর আদায় করেছিলেন,যখন তার কাছে মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের হত্যার খবর এসেছিলো।
سنن الدارمي (1/ 406):
’’ حدثنا أبو نعيم ثنا سلمة بن رجاء حدثتنا شعثاء قالت : رأيت بن أبي أوفى صلى ركعتين وقال: صلى رسول الله صلى الله عليه و سلم الضحى ركعتين حين بشر بالفتح أو برأس أبي جهل‘‘
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ চাশতের দুই নামাজ আদায় করেছেন যখন বিজয়ের সংবাদ পেয়েছেন,অথবা আবু জেহেলের মাথার (হত্যা) সংবাদ পেয়েছেন।
تفسير روح البيان (4/ 234):
’’وأما سجدة الشكر وهي أن يكبر ويخر ساجداً مستقبل القبلة ، فيحمده تعالى ويشكره ويسبح ثم يكبر فيرفع رأسه
সারমর্মঃ
সেজদায়ে শোকর হলো তাকবির বলে মাথা নত করে কিবলার দিকে সেজদায়ে চলে যাবে।
মহান আল্লাহর প্রশংসা করবে,শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে,তাসবিহ পাঠ করবে,তাকবির বলে উঠে যাবে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সেজদায়ে শোকর আদায় করা সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত।
শোকরানা নামাজ এর পূর্ণ পদ্ধতি হলো শোকর আদায়ের নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।
সেক্ষেত্রে নামাজের মধ্যে কোনো বাংলায় দোয়া করা যাবেনা। এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
শোকরানা সেজদা হিসেবে কেহ যদি শুধু সেজদাহ আদায় করে,সেটিরও অনুমতি রয়েছে।
অযু অবস্থায় তাকবির বলে কিবলার দিকে হয়ে সেজদায় যাবে,মহান আল্লাহর প্রশংসা করবে,শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে,তাসবিহ পাঠ করবে,তাকবির বলে উঠে যাবে।
এটি যেহেতু নামাজ নয়,তাই এক্ষেত্রে বাংলায় দোয়া করা যাবে।