ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)
ইবনে তাইমিয়াহ রাহ বলেন,
ﻭﺍﻟﺜﺎﻧﻲ : ﺗﻌﺎﻭﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻹﺛﻢ ﻭﺍﻟﻌﺪﻭﺍﻥ ، ﻛﺎﻹﻋﺎﻧﺔ ﻋﻠﻰ ﺩﻡ ﻣﻌﺼﻮﻡ ، ﺃﻭ ﺃﺧﺬ ﻣﺎﻝ ﻣﻌﺼﻮﻡ ، ﺃﻭ ﺿﺮﺏ ﻣﻦ ﻻ ﻳﺴﺘﺤﻖ ﺍﻟﻀﺮﺏ ، ﻭﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ : ﻓﻬﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﺣﺮﻣﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ "
যুলুম নির্যাতন মূলক কোনো কাজে কাউকে সহায়তা করা কখনো জায়েয হবে না।(মাজমুউল ফাতাওয়ায়-২৮/২৮৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
পুলিশ বা সশস্র বাহিনিতে চাকুরী করা নাজায়েয নয়।তবে যুলুম নির্যাতনে অংশ নেয়া নাজায়েয ও হারাম।যদি কেউ অংশ নেয়,তাহলে এর গোনাহ তারই হবে।যেহেতু স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেয়া স্বামীর উপর ওয়াজিব,তাই স্বামী সে তার স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিবে,সে কি করে ইনকাম করছে? ওয়াজিব ভরণপোষণ পর্যন্ত এর দ্বায়ভার স্ত্রীর উপর আসবে না।তবে ওয়াজিব ভরণপোষণের অতিরিক্ত কোনো টাকা স্বামীর নিকট থেকে গ্রহণ করা যাবে না।