আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in সালাত(Prayer) by (71 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

বুখারী শরীফের হাদিস নং 472 থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত দুই রাকাত দু রাকাত করে পড়তে বলেছেন।

আবার বুখারী শরীফের 3569 নং হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে নবী সাঃ চার রাকাত চার রাকাত করে রাতের সালাত আদায় করেছেন।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে নবী(সা) নিজে কি সবসময় চার রাকাত করে আদায় করতেন? নবী(সা) তো দুই রাকাত করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একটু বুঝিয়ে বলবেন। জাযাকাল্লাহু খয়রন।

1 Answer

+1 vote
by (671,200 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


★বুখারী শরীফের ৪৭২ নং হাদীসে এসেছেঃ

مُسَدَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ النَّبِيَّ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا تَرَى فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ قَالَ مَثْنَى مَثْنَى فَإِذَا خَشِيَ الصُّبْحَ صَلَّى وَاحِدَةً فَأَوْتَرَتْ لَهُ مَا صَلَّى وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ اجْعَلُوا آخِرَ صَلاَتِكُمْ وِتْرًا فَإِنَّ النَّبِيَّ أَمَرَ بِهِ.

ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে প্রশ্ন করলেন, তখন তিনি মিম্বারে ছিলেন- আপনি রাতের সালাত কীভাবে আদায় করতে বলেন? তিনি বলেনঃ দু’রাক‘আত দু’রাক‘আত করে আদায় করবে। যখন তোমাদের কারো ভোর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তখন সে আরো এক রাক‘আত আদায় করে নিবে। আর এটি তার পূর্ববর্তী সালাতকে বিতর করে দেবে। [নাফি‘ (রহ.) বলেন] ইবনু ‘উমার (রাযি.) বলতেনঃ তোমরা বিতরকে রাতের শেষ সালাত হিসেবে আদায় কর। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী শরীফ ৪৭৩, ৯৯০, ৯৯৩, ৯৯৫, ১১৩৭; মুসলিম ৬/২০, হাঃ ৭৪৯, ৭৫৩, আহমাদ ৬০১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৮)

★বুখারী শরীফের ৩৫৬৯ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سَعِيْدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ رَمَضَانَ قَالَتْ مَا كَانَ يَزِيْدُ فِيْ رَمَضَانَ وَلَا فِيْ غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّيْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلَا تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلَاثًا فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ تَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوْتِرَ قَالَ تَنَامُ عَيْنِيْ وَلَا يَنَامُ قَلْبِي

আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, রমাযান মাসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত কেমন ছিল? ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান মাসে ও অন্যান্য সব মাসের রাতে এগার রাক‘আতের অধিক সালাত আদায় করতেন না। প্রথমে চার রাক‘আত পড়তেন। এ চার রাক‘আত আদায়ের সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর আরো চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। এ চার রাক‘আতের সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিন রাক‘আত আদায় করতেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর সালাত আদায়ের পূর্বে ঘুমিয়ে পড়েন? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না। 
(বুখারী শরীফ ৩৫৬৯.১১৪৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩১৩)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
রাতের নামাজে নবী(সা) তো দুই রাকাত করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন,তবে চার রাকাত করে পড়া নিষেধ বা এভাবে পড়া যাবেইনা,বিষয়টি এমন নয়।
,
রাসুল সাঃ সব সময় চার রাকাত করে পড়েননি। 
(০২) 
শেষ হাদীসে সম্ভাবনা এটারও রয়েছে যে রাসুলুল্লাহ সাঃ দুই রাকাত করেই পড়েছেন,তবে চার রাকাত পর পর বিশ্রাম/বিরতি নিয়েছেন।
তাই হাদীসে এই ভাবে ইরশাদ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 102 views
...