আসসালামু আলাইকুম।
১. কুরআনের যে সকল আয়াতের ওয়াকফের স্থানে লাম আসে, সেই আয়াতগুলো যদি ক্রমাগত অনেকগুলো একাধারে আসতে থাকে, আর সুবিধার জন্য আমি লাম এর স্থলে থেমে থেমে তিলাওয়াত করি, সেভাবেই মুখস্ত করি, এতে কি নিয়ম ভঙ্গ হবে? অনেক ক্বারি তিলাওয়াতের সময় লাম অথবা অন্যান্য স্থানে থেমে নিশ্বাস নেন, এবং আয়াত না মিলিয়েই তিলাওয়াত করেন।
২. ওয়াও+ক্বফ+ফা+তা, এইরূপ যুক্তাক্ষর ওয়াকফের স্থলে নিশ্বাস না ছেড়ে থেমে পরের আয়াত মিলিয়ে তিলাওয়াতের নিয়ম রয়েছে। যদি অনেকগুলো আয়াত এভাবে পরপর থাকে, তবে কি ওয়াকফের স্থলে নিশ্বাস নিয়ে পরপর আয়াত না মিলিয়ে তিলাওয়াত করলে সেটা ভুল হবে? অনেক ক্বারি তিলাওয়াতের সময় এইরূপ স্থানে থেমে নিশ্বাস নেন, এবং আয়াত না মিলিয়েই তিলাওয়াত করেন।
৩.সলাতে বা অন্য সময় তিলাওয়াতের মধ্যে হাই আসলে, নতুন করে আউযুবিল্লাহ পড়ে তিলাওয়াত শুরু করতে হবে? নাকি কিছুই বলা যাবে না? এমনি পড়তে থাকবো?
৪. নিঃশব্দে তিলাওয়াত অথবা ওজিফা করার সময়, সুরা বা দুয়া কালাম পড়ার সময়, সলাতের পর মাসনুন জিকির বা দুয়া পড়ার সময় যদি কেউ না জেনে সালাম দেয়, তখন কি জিকির আজকার থামিয়ে তাতক্ষনিক সালামের জবাব দেওয়া জরুরি? নাকি মুখের আমলের বাকি অংশ শেষ করে তারপর?
৫. এমনিতে হাই উঠলে কি দুয়া পড়তে হয়? কেউ পড়েন আস্তাগফিরুল্লাহ, কেউ বলেন আউযুবিল্লাহ, আবার কেউ কেউ লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। কোনটি সুন্নাহ? যেহেতু হাই আসলে শয়তানের থেকে আশ্রয় চাওয়ার নির্দেশ রয়েছে.. এখানে কোন দুয়া পড়া উচিত?
৬. তিলাওয়াতের সিজদা দিতে মনে না থাকলে, না দিলে কি গুনাহ হবে?
৭. শুকরানা সিজদা কি যে কোন সময় যে কোন অবস্থায় দেওয়া যায়? নাকি শর্ত রয়েছে? কিবলামুখি হওয়া, শরির পাক হওয়া, উযু থাকা, সতর ঢাকা এসব শর্ত কি জরুরি? কোন কোন কারণে শুকরানা সিজদা দেওয়া জায়েজ?