জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরজ নামাজের পর দোয়া করার কথা হাদীস শরীফে এসেছে।
সুতরাং আপনি ফরজ নামাজ শেষ করে তারপর দোয়া করবেন।
এক্ষেত্রে বৈধ সমস্ত দোয়া করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
আবূ মুহাম্মাদ ইবনু আবি ইয়াহইয়া রহ. বলেন,
رایت عبد اللہ بن الزبیر و رئیٰ رجلا رافعا یدیہ قبل ان یفرغ من صلاتہ، فلما فرغ منھا قال: ان رسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم لم یکن یرفع یدیہ حتی یفرغ من صلاتہ۔
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাযি. একজন নামাযীকে দেখলেন, সে নামায শেষ করার আগেই হাত তুলে মুনাজাত করছে। তিনি তাকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) নামায সমাপ্ত হওয়ার আগে হাত তুলে মুনাজাত করতেন না। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৬৯)
হযরত আবূ উমামাহ রাযি. হতে বর্ণিত,
قیل لرسول اللہ صلی اللہ علیہ و سلم، ای الدعاء اسمع؟ قال: جوف اللیل الآخر، و دبر الصلوات المکتوبات
সাহাবীগণ রাযিয়াল্লাহু তা`আলা আনহুম রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন মুনাজাত বেশি কবূল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতের মুনাজাত ও ফরয নামাযের শেষের মুনাজাত। (জামি’ তিরমিযী, ২/১৮৮)
আসওয়াদ আমেরি তাঁর বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করেছি। রাসুলুল্লাহ (সা.) সালাম ফেরানোর পর পাশ ফেরালেন এবং হাত তুলে দোয়া করলেন (এলাউস সুনান ৩/১৬৪, ফাতাওয়ায়ে নজিরিয়া ২৪৫, ২৬৫, ৩৫২)।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি নামাজের পর হাত বিস্তৃত করে এই দোয়া করবে- 'হে আল্লাহ! যিনি আমার এবং ইবরাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব (আ.)-এর খোদা, জিবরাইল, মিকাইল, ইসরাফিল (আ.)-এরও খোদা, আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, আমার দোয়া কবুল করুন। কারণ আমি মুখাপেক্ষী, পেরেশান এবং অপারগ। আমাকে দ্বীনের সঙ্গে হেফাজত করুন, গুনাহ থেকে বাঁচান, অভাব দূর করে দিন। তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁর দুই হাতকে খালি ফেরাবেন না (আমলুল ইয়াওমি ওয়াল্লায়লাতি ৪৮, ৪৯, কানজুল উম্মাল ২/৮৪)।
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদের পর, সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করা যাবে।
আখেরী বৈঠকে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া করা যাবে, সমস্যা নেই।
ফরজ নামাজে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যাতিত অন্যান্য দোয়া করা ঠিক নয়।
উলামায়ে কেরামগন নিষেধ করেছেন।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ফরজ নামাজে কুরআন সুন্নাহর বর্ণিত দোয়া ব্যাতিত যেকোনো দোয়া,ওলামায়ে কেরামের রচিত বিভিন্ন দোয়া
পড়া জায়েয আছে।
তবে তারা ফরজ নামাজে কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত দূআ ব্যাতিত অন্যান্য দুআ করা থেকে অনুৎসাহিত করেছেন।
ইবনে মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে তাশাহ্হুদ শিক্ষা দিতেন। এরপর তিনি হাদিসের শেষের দিকে বলেন: "এরপর যা ইচ্ছা প্রার্থনা করবে।"[সহিহ বুখারী (৫৮৭৬) ও সহিহ মুসলিম (৪০২)]
এক বর্ণনায় আছে,
ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ
“অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দু’আ করতে
(সহীহ আবু দাউদ, হা/৯৬৮, সহীহুল জামে হা/৭৪০৩, সহীহ।)
আরো জানুনঃ