আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
শএুর সাথে মিএতা কিভাবে করবো,শুনেছি শএুরসঙগে মিএতা করার কোনো সুযোগ হাত ছাড়া করা উচিত নয়।কিন্তু শএু যদি চরম অাদর্শ বিরোধী  কেউ হয়।মিথ্যা অপবাদ দেয়,মিথ্যা বলে,সুদখোর হয়,,,মুলত এসব কারনেই তার থেকে দূরে থাকা।মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে,,,বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলে।এক্ষেত্রে ইসলাম শান্তির ধর্ম।কিন্তু অন্যায়কারীর সাথে, বিনয়ী, নম্রভাব এর পরও যারা অপমান করে,তাদের প্রতি  কিভাবে প্রতিবাদ করা যায়।যাদের প্রতিনিয়তখারাপ ব্যাবহারে ধৈর্য ধরার পর ও তাদের বোধোদয় হয় না।কিছু বিবেকহীন মানুষের সাথে আমাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত যাদেরকে ছাড় দিলে তারা আরও মাথায় উঠে বসে।তাদের সাথে  কঠোর ব্যবহার কি অন্যায়। তবে এমন মানুষের সাথে তার তালে তাল মিলালে হয়তো অামার সাথে তার ব্যবহার ভালো হবে,কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে সে ভালো না হওয়ার দরুন অন্য কারো সাথে খারাপ হবে।এমন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করাটা নিজের স্বার্থে, অাদর্শ বিরোধী নয় কি?এরা কখনোই অন্য মানুষের কাছ থেকে উপদেশ নিতে চায়না,,এদের কে ভালো করার চেষ্টা ব্যর্থ।ভালো এর সাথে ভালো অার খারাপের  সাথেও কি বারবার বিনয়ী হতে হবে যার ফলে তারা দূর্বল মনে করে।"ভালো এর সাথে ভালো অার খারাপের সঙ্গে খারাপ",,।ইসলামের দৃষ্টিতে এই নীতি কেমন।

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳَﺄْﻣُﺮُ ﺑِﺎﻟْﻌَﺪْﻝِ ﻭَﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥِ ﻭَﺇِﻳﺘَﺎﺀ ﺫِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰ ﻭَﻳَﻨْﻬَﻰ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻔَﺤْﺸَﺎﺀ ﻭَﺍﻟْﻤُﻨﻜَﺮِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻲِ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢْ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ

আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।
(সূরা নাহল-৯০)

আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহায্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 

ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .

আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।
( সূরা নিসা-১৪৮)

ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের১/৫৭২পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ

" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .

ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।

মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

আরো জানুনঃ  
,
★সুতরাং অন্যায় কারীদের সাথে ভালো ব্যবহার করাই উত্তম হবে।
তবে কেহ যদি শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে তাদের সাথে প্রতিশোধ মূলক ব্যবহার করে,সেটি নাজায়েজ নয়।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...