আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুমিনের উপর ফরয।তাই আমার তিনটা প্রশ্নের উত্তর জানা খুবই জরুরি
প্রশ্ন তিনটা হচ্ছে

১.ডাক্তারের কাছে গেলে মাগরিবের সময় অযু আর নামাজের জায়গা না থাকলে কি তায়াম্মুম করে বসেই সেখানে সালাত আদায় করা যাবে?
২.কোনো মেয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে,,সে স্কুলে গিয়ে দেখলো তার হায়িজ শেষ হয়েছে,, যোহরের নামাজ পড়তে হবে কিন্তু স্কুলে তো গোসলের ব্যবস্থা নাই,, তার স্কুল ছুটি হয়ে বাসায় আসতে আসতে যোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে,, এক্ষেত্রে কি সে অপারগতার জন্য শুধু অযু করেই স্কুলে নামাজ পড়তে পারবে নাকি ছুটি নিয়ে আগেই চল আসবে বাসায় নাকি এক্ষেত্রে নামাজ কাযা করা যাবে?
৩.কোনো ছেলে এক্সাম দিতে গেছে,,তার প্রাকটিকাল পরীক্ষা ৯ টা থেকে বিকাল  ৩ টা অব্দি,,ধরলাম যে যোহরের ওয়াক্ত ৩.২০ পর্যন্ত। সে ঠিক করেছে ৩ টায় বের হয়েই ডিপার্টমেন্টেই নামাজ আদায় করে নিবে কিন্তু পরীক্ষাকালীন তার গোসল ফরয হয়ে গেল,, এখন পরীক্ষা শেষ করে রুমে এসে গোসল করতে নামাজের সময়ই চলে যাবে,,এমতাবস্থায় কি তার উচিত হবে পরীক্ষা শেষ করে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই শুধু অযু করে নামাজ পড়া নাকি পরীক্ষা দেওয়া বাদ দিয়ে পরীক্ষা হল থেকে বের হয়ে বাসায়  চলে যাওয়া যাতে ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই গোসল করেই নামাজ পড়তে পারে?  কোনটা সঠিক?

শায়েখ খুবই দরকার উত্তর গুলা জানা

1 Answer

0 votes
by (676,720 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ-
وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)
,

যে সমস্ত ছুরতে তায়াম্মুম করা বৈধঃ-

১- পানির অনুপস্থিতিতে
আল্লাহ তাআলা বলেন, (فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ) {অতঃপর পানি না পাও, তবে তায়াম্মুম করো।}

২- পানি থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে অপারগ হলে

যেমন অসুস্থ অথবা বৃদ্ধ ব্যক্তি যে নড়াচড়া করতে পারে না এবং তার কাছে এমন ব্যক্তিও নেই যে তাকে অজু করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।

৩ - পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে

যেমন :
ক - অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করে তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।

খ – প্রচন্ড ঠান্ডায় যদি পানি গরম করার মতো কিছু না থাকে এবং পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে এ ধারণার পাল্লা ভারি থাকে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক, প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে তায়াম্মুম করে নামাজের ইমামতি করার পর, আমর বিন আস রাযি. এর কাজকে নাকচ করে না দেয়া এ ক্ষেত্রে প্রমাণ। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

গ - কোনো ব্যক্তি যদি পানি থেকে দূরে কোথাও অবস্থান করে এবং তার সাথে পান করার মতো সামান্য পানি থাকে আর অন্য পানি হাজির করতে অপরাগ হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ডাক্তারের কাছে গেলে মাগরিবের সময় অযু আর নামাজের জায়গা না থাকলে তায়াম্মুম করে বসে সেখানে সালাত আদায় করা যাবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে অযু করবেন,এবং সালাত আদায় করার মতো জায়গা আছে,এমন নিরাপদ স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবেন।

সামনে গায়রে মাহরাম পুরুষ থাকার সম্ভাবনা থাকলে আর নিরাপদ স্থান না পেলে পূর্ণ পর্দার সহিত দাঁড়িয়ে  নামাজ আদায় করবেন।

(০২)
সে ছুটি নিয়ে বাসায় এসে গোসল করে নামাজ আদায় করবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার জন্য মাসয়ালা হলো বাসায় এসে বা সেখানকার কোনো গোসলখানায় গিয়ে গোসল করে নামাজ আদায়ের সমপরিমাণ সময়ের আগেই পরীক্ষা শেষ করে গোসল করে নামাজ আদায় করবে।

★তদুপরি সে যদি পরীক্ষা শেষ করার পর বাসায় এসে গোসল করে নামাজের কাজা আদায় করে,সেক্ষেত্রে তাকে ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 54 views
0 votes
1 answer 103 views
...