ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মোল্লা আলী কারী রাহ আরো লিখেন,
وَعِنْدَنَا: يَرْفَعُهَا عِنْدَ لَا إِلَهَ، وَيَضَعُهَا عِنْدَ إِلَّا اللَّهُ لِمُنَاسَبَةِ الرَّفْعِ لِلنَّفْيِ، " وَمُلَاءَمَةِ " الْوَضْعِ لِلْإِثْبَاتِ، وَمُطَابَقَةً بَيْنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ حَقِيقَةً
হানাফি মাযহাব মতে তাশাহুদের মধ্যে 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর সময়ে শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করা হবে(এবং এটা সুন্নত)।এবং ইল্লাল্লাহ বলার পর অঙ্গুলিকে আস্তে আস্তে আস্তে নামিয়ে ফেলা হবে।যাতেকরে 'না'এর সময় 'হ্যা' হয়।অর্থাৎ যখন লা-ইলাহা (কোনো মা'বুদ নাই)বলা হবে,তখন শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলন করে বুঝানো হবে যে,অবশ্যই একজন আল্লাহ রয়েছে।এবং যখন ইল্লাহ তে আসা হবে,তখন আর উত্তোলনের প্রয়োজন নেই বিধায় অঙ্গুলিকে নামিয়ে ফেলা হবে।
অতঃপর অঙ্গুলি সমূহের এই হালকাকে নামাযের শেষ পর্যন্ত রাখা হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৩৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সহজ ভাষায় শাহাদত অঙ্গুলি উত্তোলনের পদ্ধতি হল-
সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গুলি এবং তার পাশের অঙ্গুলি কে হাতের তালুর সাথে মিলিয়ে রাখা হবে।এবং মধ্যম অঙ্গুলি ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা গোল করে হালকা বানাবে।অতপর 'আশহাদু আন-লা-ইলাহা' পড়ার সময়ে অঙ্গুলিকে উত্তোলন করবে।(কেননা আশহাদু আন-লা-ইলাহা এর অর্থ হলো,কোনো মা'বুদ নাই।তাই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করে বুঝাবে আমার আক্বিদা বিশ্বাসে শুধুমাত্র একজন মা'বুদ রয়েছেন,এবং তিনি হলেন,আমার আল্লাহ) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1262
(২)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে অজু ভঙ্গ হলে, নিয়ম হল,কথা না বলে অজু করে এসে অবশিষ্ট নামাযকে সম্পন্ন করা।চায় জামাতের নামায হোক,বা একাকি হোক।ফরয নামায হোক বা সুন্নত হোক।পুরুষ কর্তৃক নামায পড়া হোক বা মহিলা কর্তৃক হোক।
সুতরাং আপনি যদি মহিলা হন,এবং ঘরের নামাযকে আদায় করে থাকেন,এবং নামাযে যদি অজু চলে যায়,তাহলে আপনি কোনো কথা না বলে,অজু করে এসে অবশিষ্ট নামাযকে আপনি সম্পন্ন করে নিবেন।তবে আপনি চাই পূনরায় নতুনভাবেও নামাযকে পড়তে পারবেন।
নামাযে যদি প্রায় অজু চলে যায়,তাহলে দেখতে হবে আপনি মা'যুর কি না?কে শরীতের দৃষ্টিতে মা'যুর এবং কে মা'যুর নয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-১৭৪৬
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)
নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4709
(৩)
মাযহাবের অনুসারী কোনো ভাইয়ের জন্য উনার সালাতকে অনুসরণ করা জায়েয হবে না।