ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/16180 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোন কোন জায়গায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?
يُسْتَحَبُّ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي مَكَانٍ نَظِيفٍ مُخْتَارٍ، وَلِهَذَا اسْتَحَبَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي الْمَسْجِدِ لِكَوْنِهِ جَامِعًا لِلنَّظَافَةِ وَشَرَفِ الْبُقْعَةِ، قَالَهُ النَّوَوِيُّ.
وَصَرَّحَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ بِكَرَاهَةِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاضِعِ الْقَذِرَةِ، وَاسْتَثْنَى الْمَالِكِيَّةُ الآْيَاتِ الْيَسِيرَةَ لِلتَّعَوُّذِ وَنَحْوِهِ.
পবিত্রতম পছন্দনীয় স্থানেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।এজন্য উলামাদের বড় একটি জামাত পছন্দ করেন যে,মসজিদেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।কেননা মসজিদ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদই হল,সর্বোত্তম স্থান।এটা ইমাম নববী রাহ এর মন্তব্য। হানাফি, শা'ফেয়ী, মালিকী,এবং হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত ফুকাহায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হল,ময়লাযুক্ত স্থানে কুরআন তিলাওয়াত মাকরুহ।তবে মালিকী মাযহাবের ফুকাহাগণ দু'আর ছোট্ট আয়াতকে ময়লাযুক্ত স্থানে পড়ারও অনুমোদন দিয়ে থাকেন।(৩৩/৬২) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/171
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ كُتِبَ الْقُرْآنُ عَلَى الْحِيطَانِ وَالْجُدَرَانِ بَعْضُهُمْ قَالُوا: يُرْجَى أَنْ يَجُوزَ، وَبَعْضُهُمْ كَرِهُوا ذَلِكَ مَخَافَةَ السُّقُوطِ تَحْتَ أَقْدَامِ النَّاسِ، كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
كِتَابَةُ الْقُرْآنِ عَلَى مَا يُفْتَرَشُ وَيُبْسَطُ مَكْرُوهَةٌ، كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.
দেয়ালে লিখিত কুরআনে বিষয়ে শরয়ী বিধি-বিধান নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে জায়েযই মনে করেন।আবার কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম এটাকে অপছন্দ করে থাকেন।এজন্য যে,হয়তো তা মানুষের পদতলে পৃষ্ট হতে পারে।(ফাতাওয়ায়ে কাযিখান)এবং বসা বা ঘুমানোর জায়গায় কুরআন লিখা মাকরুহ। (গারাঈব)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;৫/৩২৩)
অনুপযুক্ত স্থানে কুরআন লিখা অনুচিত। মসজিদের দেয়ালে অযথা কুরআনের আয়াত না লিখাই ভালো। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৫/২৬৩) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/359
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত মূলনীতি সমূহের আলোকে আমরা বলবো যে, পবিত্র কোরআন শারীফে ময়লা ধুলা লাগলে তা টিস্যু দিয়ে মুছলে, সেই টিস্যুকে পানিতে ফেলে দেয়াই উত্তম। কোনো কাগজে পবিত্র কোরআন শারীফের আয়াত শারীফ লিখা এবং হাদিস শারীফ লিখা থাকলে, তাকেও পানিতে ফেলে দেয়াই উত্তম। কোনো কাগজে আল্লাহ্ এবং উনার রাসুল (সাঃ) এর নাম লিখা থাকলে ,ঐ সম্পূর্ণ লিখার উপরের ধুলা বালিকে টিস্যু ইত্যাদি দ্বারা মুছার পর সেই টিস্যুকে পানিতে ফেলে দেয়াই উত্তম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি টিস্যু দ্বারা কুরআনকে মুছে সেই টিস্যুকে আপনি যেহেতু ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন, তাই এখন আর ঐ টিস্যুকে তুলে আনার কোনো প্রয়োজিয়নতা নাই। আপনি যে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন, এজন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।