আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
433 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
যেই মোবাইলে কোরআন শারীফের এপস থাকে, ওই মোবাইলে গান ছবি দেখলে পবিত্র কোরআন শারীফের রেহানত হয় কি?

মুফতি দিলোয়ার হুসাইন বললেন, "রেহানত হয়"।

রেহানত মানে কি?


jskzkzzlzlksমাজ্যজ্যগশিসস্কস্কদজ্জক্সক্যক্যক্যক্যন্যন্যক্যক্য্্কস্কস্কসজগক্সজ্যক্যক্যযহজ্যক্যক্যক্সনক্যন্যজক্সক্যম্যম্যনক্সবন্যন্যক

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
685 নং ফাতাওয়ায় আমরা ইতিপূর্বে বলেছিলাম যে, 
কুরআনে কারীম সম্মানী জিনিষ।সুতরাং সেই সম্মানী কুরআনকে এমন কোনো স্থানে রাখা যাবে না,যেখানে কুরআনের অসম্মানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পদপৃষ্ঠ সম্ভাবনাময় স্থানে কুরআন লিখা মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/359

কুরআনে কারীমকে অসম্মান করা হবে এমন স্থানে কুরআনকে নিয়ে যাওয়া বা রাখা কখনো জায়েয হবে না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻨﻬﻰ ﺃﻥ ﻳﺴﺎﻓﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺽ ﺍﻟﻌﺪﻭ؛ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻟﻪ ﺍﻟﻌﺪﻭ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।যাতেকরে শুত্রুরা কুরআনকে নিয়ে গিয়ে কোনোপ্রকার অসম্মান না করতে পারে।
(মুয়াত্তা মালিক-৫/২,মুসনাদু আহমাদ-২/৬,৬৩, সুনানু নাসাঈ-৮৫,সুনানু ইবনি মা'জা-২৮৮০)

উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন,
যদি শত্রুদেশে নিরাপত্তা থাকে তাহলে কুরআন নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে।

মোটকথা কুরআনকে সম্মানজনক স্থানে রাখতে হবে।অসম্মানের আশংকাজনক স্থানে কুরআন রাখা যাবে না।এবং রাখাটাও জায়েয হবে না।
অনলাইনে কুরআনের অসম্মানের কোনো আশংকা নেই।কেননা এখানে পদপৃষ্ঠ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।অন্যদিকে এতে রয়েছে মানুষের ব্যাপক ফায়দা।যেকেউ ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় নির্দ্বিধায় পড়তে পারবে। আল্লাহ পাক কুরআনকে পড়া ও তাকে নিয়ে চিন্তা করা সম্পর্কে বলেন,
ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣُﺒَﺎﺭَﻙٌ ﻟِّﻴَﺪَّﺑَّﺮُﻭﺍ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟِﻴَﺘَﺬَﻛَّﺮَ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। (সূরা সোয়াদ-২৯)

প্রুফাইল পিকছার হলো একটা আইডির পরিচায়ক। যা চেহারার সমতূল্য।সুতরাং এটা অসম্মানের স্থান নয়। তাই রাখা যাবে।তবে মানুষ বা জীব জন্তুর ফটো বিশিষ্ট কোনো স্থানে কুরআনের আয়াত লিখা যাবে না। তাছাড়া এমন কোনো স্থানে/ ডিসপ্লেতে কুরআন চলানো উচিৎ হবে না। যেখানে ইতিপূর্বে গাণ বাজানো হতো, গান বাজনার ভিডিও করত এভাবে , সুতরাং এগুলোর ব্যবহার জায়েয হলেও ব্যবহার না করাই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...