জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শিহাব নামের অর্থ:আগুনের উল্কাপিণ্ড,গরম ইত্যাদি
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن عائشة رضي الله عنها قالت: ذُكر عند رسول الله صلى الله عليه وسلم رجل يقال له: شهاب، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "بل أنت هشام".
(الأدب المفردبالتعليقات ،سمير ابن آمين الزهيري،طبع بمكتبة المعارف،رياض)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট একবার এক ব্যক্তির আলোচনা উঠলো,যাকে শিহাব নামে ডাকা হতো,রাসূলুল্লাহ সাঃ শুনে বললেন, না বরং তুমি হেশাম।(আল-আদাবুল-মুফরাদ,ইমাম বোখারী-পৃষ্টা:৪৪৪,হাদীস নংঃ৮২৫,)
কারো এই নাম রাখা হয়ে গেলে সেটাকে কি পরিবর্তন করতে হবে?এ সম্পর্কে বলা যায় যে,এ নামকে বদলিয়ে ফেলা মুস্তাহাব।তবে ওয়াজিব নয়।
শায়েখ বিনবায রাহ, বলেন, শিহাব শব্দ দ্বারা নাম রাখাতে নাম কোনো প্রকার সমস্যা নাই।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
শিহাব শব্দ দ্বারা নাম রাখাকে কেন্দ্র করে মতভেদ রয়েছে।হ্যা নিশ্চিন্তরূপে এ সিদ্ধান্তে পৌছা যায় যে,শিহাব শব্দ দ্বারা নাম রাখা হারাম নয়।এবং এ নাম দ্বারা কারো নাম রাখা হয়ে গেলে তার নাম পরিবর্তন করা ওয়াজিব ও নয়,বরং এক্ষেত্রে হুকুম মুস্তাহাব পর্যায়ের।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে যেহেতু তার জন্মসনদ,nid,সব শিক্ষাযোগ্যতা তে এই নাম ব্যাবহার হয়ে গেছে তাই, নাম পরির্বতন এর কাজ করতে গেলে,বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ি অনেক দৈর্ঘ্য সময় এর প্রয়োজন, এতে তার ভবিষ্যৎ এ অনেক কাজ এ সমস্যা হবে।
,
আর এ নাম পরিবর্তনের বিধান যেহেতু ওয়াজিব নয়,বরং মুস্তাহাব পর্যায়ের।
তাই এ নাম পরিবর্তন নাও করা যেতে পারে।
,
তারপরেও এ নাম শুনে যেহেতু স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজেই পরিবর্তন করে দিয়েছেন,তাই জন্মসনদ,nid,শিক্ষাযোগ্যতা থেকে নাম পরিবর্তন যেহেতু অনেক ঝামেলা আর ভেজালের কাজ।
তাই অন্য ভালো ইসলাম সম্মত নাম এই ভাবে রাখবে যে মৌখিক ডাকাডাকিতে যেনো সকলে ব্যবহার করে। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব দের মাঝে সে নামের প্রচার প্রসার করবে।
যাতে কিয়ামতের ময়দানে মহান আল্লাহ তায়ালা এই ভালো নামেই তাকে ডাকেন।
জন্মসনদ,nid,শিক্ষাযোগ্যতা থেকে নাম পরিবর্তনের দরকার নেই।