ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
685 নং ফাতাওয়ায় আমরা ইতিপূর্বে বলেছিলাম যে,
কুরআনে কারীম সম্মানী জিনিষ।সুতরাং সেই সম্মানী কুরআনকে এমন কোনো স্থানে রাখা যাবে না,যেখানে কুরআনের অসম্মানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুরআনে কারীমকে অসম্মান করা হবে এমন স্থানে কুরআনকে নিয়ে যাওয়া বা রাখা কখনো জায়েয হবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻨﻬﻰ ﺃﻥ ﻳﺴﺎﻓﺮ ﺑﺎﻟﻘﺮﺁﻥ ﺇﻟﻰ ﺃﺭﺽ ﺍﻟﻌﺪﻭ؛ ﻣﺨﺎﻓﺔ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻟﻪ ﺍﻟﻌﺪﻭ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কুরআন সাথে নিয়ে শত্রু দেশে সফর করতে নিষেধ করেছেন।যাতেকরে শুত্রুরা কুরআনকে নিয়ে গিয়ে কোনোপ্রকার অসম্মান না করতে পারে।
(মুয়াত্তা মালিক-৫/২,মুসনাদু আহমাদ-২/৬,৬৩, সুনানু নাসাঈ-৮৫,সুনানু ইবনি মা'জা-২৮৮০)
উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন,
যদি শত্রুদেশে নিরাপত্তা থাকে তাহলে কুরআন নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে।
মোটকথা কুরআনকে সম্মানজনক স্থানে রাখতে হবে।অসম্মানের আশংকাজনক স্থানে কুরআন রাখা যাবে না।এবং রাখাটাও জায়েয হবে না।
অনলাইনে কুরআনের অসম্মানের কোনো আশংকা নেই।কেননা এখানে পদপৃষ্ঠ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।অন্যদিকে এতে রয়েছে মানুষের ব্যাপক ফায়দা।যেকেউ ইচ্ছা করলে যেকোনো সময় নির্দ্বিধায় পড়তে পারবে। আল্লাহ পাক কুরআনকে পড়া ও তাকে নিয়ে চিন্তা করা সম্পর্কে বলেন,
ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣُﺒَﺎﺭَﻙٌ ﻟِّﻴَﺪَّﺑَّﺮُﻭﺍ ﺁﻳَﺎﺗِﻪِ ﻭَﻟِﻴَﺘَﺬَﻛَّﺮَ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে। (সূরা সোয়াদ-২৯)
প্রুফাইল পিকছার হলো একটা আইডির পরিচায়ক। যা চেহারার সমতূল্য।সুতরাং এটা অসম্মানের স্থান নয়। তাই রাখা যাবে।তবে মানুষ বা জীব জন্তুর ফটো বিশিষ্ট কোনো স্থানে কুরআনের আয়াত লিখা যাবে না। তাছাড়া এমন কোনো স্থানে/ ডিসপ্লেতে কুরআন চলানো উচিৎ হবে না। যেখানে ইতিপূর্বে গাণ বাজানো হতো, গান বাজনার ভিডিও করত এভাবে , সুতরাং এগুলোর ব্যবহার জায়েয হলেও ব্যবহার না করাই উত্তম।