বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।
وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। (সূরা বনি ইসরাঈল-২৩-২৪)
عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ فَقَالَ هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَالْزَمْهَا فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا
মুআবিয়া ইবন জাহিমা সালামী (রহঃ) বলেন, আমার পিতা জাহিমা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যুদ্ধে গমন করতে ইচ্ছা করেছি। এখন আপনার নিকট মতামত জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বললেনঃ তোমার মাতা আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ। তিনি বললেন, তার খেদমতে লেগে থাক। কেননা, জান্নাত তার পদদ্বয়ের নিচে। ( সুনানে নাসাঈ-৩১০৮, সুনানে ইবনে মাজা-২৭৮১)
মানুষের বসবাসের ক্ষেত্রে শরয়ী কোনো বিধিনিষেধ নেই। যার যেখানে সুবিধা হবে সে সেখানেই বসবাস করবে। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, দ্বীনী পরিবেশ দেখেই মানুষ তার বসবাস স্থলকে নির্বাচন করবে।মানুষ যেখানেই বসবাস করুক না কেন, শরীয়ত তাকে যাদেরকে লালনপালনের দায়িত্ব দিয়েছে,সে তাদেরকে লালনপালন করবে।যেমন স্ত্রী,নাবালক সন্তানাদি,অভাবী পিতা-মাত, নিঃস্ব ভাই-বোন ইত্যাদি লোকদিগকে দেখভাল করার দায়িত্ব প্রত্যেক মানুষের উপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে। চায় সে পুরুষ হোক বা মহিলা হোক, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সে তার দায়িত্ব পালন করবে।
যৌথপরিবারে থাকলেও স্বামীর খেদমত ব্যতীত আর কারো খেদমত এমনকি সবার রান্নাবান্নার দায়িত্ব ও স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয় বরং তার নৈতিক দায়িত্ব। তবে রান্নাবান্না সম্পর্কে মতানৈক্য রয়েছে এবং বিষয়টা ব্যাখ্যা সাপেক্ষও ।একক পরিবার না যৌথ পরিবার?কোনটা অগ্রহণযোগ্য?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/430
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেভাবে একজন ছেলের উপর মাতপিতার হক রয়েছে, ঠিক সেভাবে একজন মেয়ের উপরও মাতাপিতার হক রয়েছে। হ্যা মেয়ের তুলনায় ছেলের উপর মাতাপিতার হক বেশী , এজন্য যে, মেয়ে সে তার স্বামীর অধীনে থাকবে, তাছাড়া সে রোজিরোজগার করতে পারবে না। সেজন্য ছেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সে তার মাতাপিতার খেদমত করবে। এবং মেয়েও সে তার সাধ্যমত মাতাপিতার খেদমত করবে। স্ত্রী মাতাপিতার খেদমত করার ইচ্ছাপোষণ করলে স্বামী এতে বাঁধা দিতে পারবে না।
সুতরাং আপনি শাশুড়-শাশুড়িরর মন রক্ষার নিমিত্তে মাতাপিতার খেদমতকে বিসর্জন দিতে পারবেন না।