জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো পোশাক খুব পাতলা বা আঁটোসাটো হওয়া যাবেনা।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «صنفان من أهل النار لم أرهما، قوم معهم سياط كأذناب البقر يضربون بها الناس، ونساء كاسيات عاريات مميلات مائلات، رءوسهن كأسنمة البخت المائلة، لا يدخلن الجنة، ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,জাহান্নামের দু'টি দল,যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি।(ক)ঐ দল যাদের সাথে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা লোকদিগকে প্রহার করবে।(খ)ঐ সমস্ত পোশাকধারী উলঙ্গ মহিলা,যারা আকৃর্ষিত হবে এবং পুরুষদেরকে আকর্ষৃত করবে।তাদের মাথা উঠের পিঠের মত কুজো এবং আকর্ষনকারী হবে।তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।এমনকি তারা তার সুঘ্রাণ ও পাবে না।অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূরত্ব থেকে সহজেই পাওয়া যাবে।সহীহ মুসলিম-২১২৮
বিস্তারিত জানুনঃ
,
এসব পোষাক গৃহাভ্যন্তরে কেবল স্বামীর সামনে পরা জায়েয। সন্তান ও অন্যান্য মাহরামের সামনে নয়। কেননা নারীর আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য প্রকাশকারী পোষাক কেবল স্বামী ব্যতীত অন্যের সামনে পরিধান করা নিষিদ্ধ (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৮২৫, ১২/২১৭; ছালেহ ফাউযান, আল-মুনতাক্বা ৩/১৭০)।
,
★প্লাজো যদি খুব পাতলা না হয়,তাহলে এটি যেহেতু বোরকার ভিতরে থাকবে,তাই এটি পরিধান করে পর্দার সহিত বাহিরে যাওয়াও জায়েজ আছে।
বাড়িতে পরিধান করাও জায়েজ আছে
,
তবে স্কার্ট পরিধান করে বাহিরে বের হওয়া যাবেনা।
কোনো গায়রে মাহরামের সামনেও যাওয়া যাবেনা।
,
শুধুমাত্র স্বামীর সামনে পড়তে পারে।
(০২)
একই বৈঠকে একই সেজদার আয়াত বারবার পড়লে একবার সেজদাহ দিতে হবে।
,
যদি আলাদা আলাদা মজলিসে একই সেজদার আয়াত পড়লে বা একাধিক সেজদার আয়াত একই মজলিসে পড়লে যতবার পড়া হুবে,ততবার সেকদাহ আদায় করতে হবে।
,
(০৩)
নামাজের তাসবিহই পড়বে।
তথা سبحان ربي الأعلى পড়বে।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে আগে সাহরী খেয়ে যতটুকু তারাবিহ পড়া যায়,ততটুকুই পড়বেন।
তারাবিহ নামাজের কাজার কোনো বিধান নেই।
,
(০৫)
সাহরীর সময় শেষ হওয়ার পর পাক হলে সেই দিনের রোযা রাখবেনা।
এক্ষেত্রে সাহরীর শেষ সময়ের পরেও ২-৩ মিনিট হাতে রেখেই সময় শেষ বলা হয়।
তাই সেই অতিরিক্ত সময়ই আপনি শেষ সময় বলে ধরবেন।