আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in পবিত্রতা (Purity) by (57 points)
edited by
১.বিসমিল্লাহ মনে মনে বলে ওজু কিংবা ফরজ গোসল শুরু করলে বিসমিল্লাহএর উপর আমল সহীহ হবে?

২.গোসলখানা  আর টয়লেট একত্রে হওয়ায় সেখানে বিসমিল্লাহবলা জাবে কি?

৩.হায়েজ যদি মাঝরাতে বা ফজরের আযানের ৫মিনিট আগে ভালো হয়  তাহলে কি সেই দিনের এশার নামাজ কাযা আদায় করতে হবে?

৪.কোনো মেয়ের স্বাভাবিক হায়েজ আলামতসহ শেষ হতে ৯-১০দিন লাগে।কোনো এক মাসে ৬-৭দিন আসার পর ভালো হয়ে গেলো,কিন্তু ৯-১০ দিনের মাথায় হলুদাভ বর্ন দেখতে পেলে তা কি হায়েজ হিসেবে গন্য হবে?১০দিনই কি হায়েজ হিসেবে ধরতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কমপক্ষে জিহবা নাড়িয়ে শব্দ উচ্চারণ করতে হবে।
তবে ওযর বশত মনে মনে পড়ে অযু গোসল শুরু করলে বিসমিল্লাহ এর উপর আমল সহীহ হবে ইনশাআল্লাহ। 
,
(০২)
এক্ষেত্রে মনে মনে  পড়বে।
,
(০৩)

শরীয়তের বিধান মতে পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
অর্থাৎ নামাজের শেষ সময়ে  যদি কাহারো পিরিয়ড শুরু হয়,তাহলে তার উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
কাহারো নামাজের শেষ সময়ে এসে পিরিয়ড শেষ হয়,
তাহলে যদি সেই সময় গোসল করে সেই নামাযের তাকবীর বাঁধার মত সময়ও বাকি থাকে, তাহলে উক্ত নামাযটি আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। আর যদি গোসল করে তাকবীর বাঁধার মত সময় না পাওয়া যায়, তাহলে সেই নামায আদায় করা আবশ্যক নয়।
,
এখানেও নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।

أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي

হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হায়েয আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।
সহিহ, বুখারি ও মুসলিম।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাঝ রাতে হায়েজ বন্ধ  হলে সেই ইশা + বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
এখানে ফজরের আযান ধর্তব্য নয়।
ফজরের ওয়াক্ত ধর্তব্য।
,
সাধারণত রমজান মাসেই শুধু ওয়াক্তের শুরুতে ফজরের আযান দেয়,অন্যান্য মাসে ওয়াক্ত আসার অনেক পরে ফজরের আযান দেয়।
,
সুতরাং ফজরের ওয়াক্ত আসার পাঁচ মিনিট আগে হায়েজ বন্ধ হলে দেখতে হবে যে এই অল্প সময়ের মধ্যে গোসল করে তাকবীর বাঁধার মত সময় পান কিনা?
যদি পান,তাহলে সেই ইশা + বিতর নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
,
অন্যথায় কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
(০৪)
হ্যাঁ সে দশ দিনই হায়েজ হিসেবে ধরবে। 
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (57 points)
৬-৭ দিনে সাদা বর্ন দেখতে পাবার পরও যদি ১০দিনের দিন হলুদাভ দেখতে পাই তবুও সেটি হায়েজ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...