হাদিস শরিফে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যখন কেউ নামাজে দাঁড়িয়ে যায়, আর কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়; সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়। (জামে তিরমিজি, হাদিস- ১৪২)
প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ শুরু করা মাকরূহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা উচিত।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত নামাজ পুনরায় নতুন করে শুরু করতে হবে।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে যায়,তাহলে সে সাথে সাথে অজু করার জন্য যাবে,
এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ যেনো তার থেকে প্রকাশ না পায়, (যেমন কাহারো সাথে কথা বলা,ইত্যাদি) অজু করে এসে বাকি নামাজ আদায় করবে।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু করে এসে সেজদাহ থেকে নামাজ শুরু করতে হবে।
,
(০৩)
ইমাম আবূ হানীফাহ্ রহঃ বলেন, যে ব্যক্তি ফাজরের (ফজরের) সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছে এমতাবস্থায় সূর্য উদিত হলো তাহলে তার সলাত বাতিল হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি ফজরের এক রাকাত পান,তাহলে আপনার সেই নামাজ আদায় হবেনা।
সূর্য উদিত হওয়ার পর নিষিদ্ধ ওয়াক্ত চলে গেলে (১৫-২০ মিনিট পর) ফজরের নামাজ সুন্নাত সহ কাজা আদায় করবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসের আলোকে ইমাম শাফেয়ী, ইমাম,মালেক রহঃ সহ অনেক ইসলামী স্কলারগন সে সময়েই নামাজ আদায় করতে বলেছেন।