আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
মুহাতারাম
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।
১. ফজরের নামাজে বিলম্ব হওয়ায় নামাজ এমন অবস্থায় শেষ হয়েছে সূর্যোদয়ের সময় শুরুর ২ মিনিট অতিক্রম হয়েছে।
এমতাবস্থায় নামাজ কি দোহরাতে হবে।
২৷ হাদিয়া ও সদকার পার্থক্য জানতে চাই।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিয়া গ্রহণ করতেন কিন্তু সদকা নিতেন না।

1 Answer

0 votes
by (677,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, ফজর নামাজের ভিতর যদি সালাম ফিরানোর পূর্বে সূর্য উদিত হয়,তাহলে সেই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে সেটির কাজা আবশ্যক হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
উকবা বিন আমের জুহানী রাযি. বলেন,

ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ

তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত। যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)

قولہ: بخلاف الفجر أي فإنہ لا یؤدي فجر یومہ وقت الطلوع لأن وقت الفجر کلہا کامل فوجبت کاملۃ فتبطل بطرو الطلوع الذي ہو وقت الفساد۔ (شامي ۱؍۳۷۳ کراچی، شامي، کتاب الصلاۃ ۲؍۳۳ زکریا، البحر الرائق ۱؍۲۵۱، بدائع الصنائع ۱؍۳۲۷ کراچی)
সারমর্মঃ-
ফজর এর (আসরের) বিপরীত,কেননা সেদিনের ফজর সূর্য উদিত হওয়ার সময় আদায় করা যায়না। কেননা ফজরের ওয়াক্ত পুরাটাই কামিল,তাই পূর্ণাঙ্গ ভাবেই সেটি আদায় আবশ্যক। সুতরাং নামাযের মাঝে সূর্য উদিত হওয়ার দ্বারা নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ফজরের নামাজ আদায় হয়নি। পুনরায় ফজরের ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
সাদকা হলো, এমন অর্থ যা নির্দিষ্ট শ্রেণী তথা ফকীর-মিসকীনদেরকে দেয়া হয় তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এবং এতে দাতার উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সাওয়াব অর্জন করা।

সদকাহ ৩ প্রকার।
ফরজ,যেমন যাকাত।
ওয়াজিব যেমন মান্নত,কসমের কাফফারা।
নফল। 

পক্ষান্তরে, হাদীয়া এসবের আওতামুক্ত।

হাদীয়া ধনী গরীব নির্বিশেষে যেকোন শ্রেণীর লোককে দেয়া হয় এবং তা তার প্রয়োজন পূরণের জন্য নয় বরং পরস্পরে হৃদ্যতা আন্তরিকতা তৈরি ও বাড়ানো উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...