আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
436 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
১. ছোট বাচ্চাদের কপালে কি কালো টিপ দেওয়া যাবে।নজর থেকে বাচানো এইজন্য দেয়া তো শির্ক।কিন্তু সুন্দর লাগবে এইটা ভেবে কি দেয়া যাবে?

২.ছোট বাচ্চাদের কার্টুন যেগুলো ইংলিশ বাংলা ছড়াই গান অাকারে দেয় ওগুলো কি বাচ্চাদের শোনানো যাবে?

৩.ছোট বাচ্চার কতটুকু পর্দা করা যায়েজ?

৪.নিজের  অাত্মীয় স্বজন বান্ধবীদেরকে বাচ্চার পিক কি ইনবক্স করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বদনজর থেকে বাচার জন্য এগুলোকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করা কুসংস্কার। 
তাই এহেন কাজ করা নাজায়েজ। 
মুসলমানদের এহেন ইমান বিধ্বংসি কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল  ১৬/১৮১)
,
তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এগুলো বিশ্বাস করাকে শিরক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
.

হাদীস শরীফে আছে   
عن قطن بن قبیصۃ عن أبیہ رضي اللّٰہ عنہ قال: سمعت رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم یقول: العیافۃ والطیرۃ والطَّرق من الجِبت۔ (سنن أبي داؤد، کتاب الطب / باب في الخط وزجر الطیر ۲؍۵۴۵ رقم: ۳۹۰۷ دار الفکر بیروت، مشکاۃ المصابیح ۲؍۳۹۲، وأخرجہ ابن أبي شیبۃ ۵؍۳۱۱ رقم: ۲۶۴۰۳، وأحمد في مسندہ ۲۵؍۲۵۶ رقم: ۱۵۹۱۵، والطحاوي في شرح معاني الآثار برقم: ۷۰۹۱، وابن حبان في صحیحہ ۱۳؍۵۰۲ رقم: ۶۱۳۱، والمعجم الکبیر للطبراني ۱۸؍۳۶۹)

  কত্বান ইবনু কবীসাহ্ (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ভাগ্যের ভালো-মন্দ নির্ণয়ের জন্য) পাখি উড়ানো বা ঢিল ছোঁড়া বা কোন কিছুতে অশুভ লক্ষণ মান্য করা শির্কের অন্তরভুক্ত।
,
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَوُفٌ، حَدَّثَنَا حَيَّانُ، قَالَ: غَيْر مُسَدَّدٍ، حَيَانُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: الْعِيَافَةُ، وَالطِّيَرَةُ، وَالطَّرْقُ مِنَ الجِبْتِ الطَّرْقُ: الزَّجْرُ، وَالْعِيَافَةُ: الْخَطُّ ضعيف
 কাতান ইবনু কাবীসাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ পাখীর সাহায্যে ভাল-মন্দ নির্ণয় করা, কোনো কিছুকে অশুভ লক্ষণ ভাবা এবং মাটিতে রেখা টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় কুফরী। ‘আত-তারক; হচ্ছে কংকর নিক্ষেপ করে অশুভ লক্ষণ নির্ণয় করা। ‘আল-ইয়াফা’ হচ্ছে মাটিতে দাগ টেনে শুভ-অশুভ নির্ণয় করা
(আবু দাউদ  ৩৯০৭)

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا حَيَّانُ، - قَالَ غَيْرُ مُسَدَّدٍ حَيَّانُ بْنُ الْعَلاَءِ - حَدَّثَنَا قَطَنُ بْنُ قَبِيصَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْعِيَافَةُ وَالطِّيَرَةُ وَالطَّرْقُ مِنَ الْجِبْتِ " . الطَّرْقُ الزَّجْرُ وَالْعِيَافَةُ الْخَطُّ .

মুসাদ্দাদ (রহঃ) - - - কাবীসা (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ বলতে শুনেছি যে, জ্যোতিষীদের মাটিতে দাগ কেটে যাত্রা শুভ-অশুভ নির্ধারণের কথায় বিশ্বাস করা, ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য লটারীর ব্যবস্থা করা, কুফরী রসমরিওয়াজের অন্তর্ভুক্ত।
(আবু দাউদ ৩৮৬৭.) 
.
★★সুতরাং এহেন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।  
,
যদি সৌন্দর্যের জন্য টিপ দেওয়া হয়,তাহলেও নাজায়েজ। 
কারন এতে বিধর্মীদের অনুকরণ হবে।
,
আরো জানুনঃ
,
(০২)
সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বিরত থাকাই উচিত।
,
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ

(০৩)
(০৩)
যে সমস্ত ছোট বাচ্চা বালেগ হয়নি,বালেগ হওয়ার নিকটতম হয়নি,তাদের সামনে মহিলাদের সতর খোলা অবস্থায় আসা জায়েজ নেই।

এক্ষেত্রে তথা ছোট বাচ্চার সামনে মহিলাদের সতরঃ
মহিলাদের সতর হল, মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দান সংশ্লিষ্ট সিনার উপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর সতর। 

সুরা নুর এর ৫৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَبۡلُغُوا الۡحُلُمَ مِنۡکُمۡ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّهِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوۡرٰتٍ لَّکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ وَ لَا عَلَیۡهِمۡ جُنَاحٌۢ بَعۡدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ بَعۡضُکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۵۸﴾

হে মুমিনগণ, তোমাদের ডানহাত যার মালিক হয়েছে এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন অবশ্যই তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে। ফজরের সালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ, এবং ‘ইশার সালাতের পর; এই তিনটি তোমাদের [গোপনীয়তার] সময়। এই তিন সময়ের পর তোমাদের এবং তাদের কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অন্যের কাছে যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। 

আরো জানুনঃ 

(০৪)
কিছু উলামায়ে কেরামদের মতে এটি কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের  মতে জায়েজ আছে।
,
তাই সতর্কতামূলক না দেওয়াই উত্তম।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
মেসেনজারে সেই ব্যক্তি ছাড়া অার কেউ তো দেখতে পায়না যেমন নিজের নানা নানী খালা এমনকি বাবা ও যদি দূরে থাকে বাচ্চার পিকতো দেখতে চাইবে এক্ষেত্রে করনীয় কি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...