আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আস সালামু আলাইকুম উস্তাদ!
সম্মানিত উস্তাদ, ৬-৭ বছরের মেয়ে বাচ্চার অলংকার(স্বর্ণ বা রৌপ্যের চেইন, আংটি) পড়ার বিষয়ে কোনো বাঁধা রয়েছে শরীয়তে?। যেহেতু তারা বালেগ নয়, তবুও অলংকার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে এক্ষেত্রে বাচ্চাদের বদ নজর লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রিয় উস্তাদ, আপনার মূল্যবান পরামর্শ চাই এব্যাপারে।
যদি শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে সরাসরি কোনো বৈধ-অবৈধ নির্দেশ না থাকে, তাহলে আপনার দৃষ্টিকোন থেকে এর মূল্যবান মতামত জানাবেন।
উস্তাদ, দেখা যায় অনেক মায়েরা তার ছোট বাচ্চা ছেলেকে রৌপ্যের চেইন পরান, এটা কি জায়েজ?
জাযাকাল্লাহু খয়রন প্রিয় উস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2628


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাবালক সন্তাদেরকে অতিরিক্ত সাজসজ্জা করে দেওয়া অপচয়ের শামিল। তাছাড়া অতিরিক্ত সাজসজ্জা করে বাহিরে নিয়ে গেলে বদনজরের সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এত্থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম।
নাবালক ছেলে সন্তানের গলায় রূপার চেইন দেওয়া জায়েয হবে না। কেননা চেইন মূলত মেয়েরাই দিয়ে থাকে, সুতরাং ছেলেকে পড়িয়ে দেওয়া মাতাপিতার জন্য জায়েয হবে না। কেননা এতেকরে বিপরীত লিঙ্গের সাথে সাদৃশ্য হয়ে যায়, যা সম্পূর্ণ অনুচিত ও শরীয়তের বিধানের উল্টো কাজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...