আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
edited by
১. নামাজ পরার সময় যদি আত্তাহিয়াতু না পড়ি তাহলে কি শাহাদাত আঙ্গুল উঠাতে হবে?

২. যদি কুফরির নিয়ত না করে কুফরি কোনো কথা মুখ দিয়ে বলি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

৩. যদি নিজের জন্য কোনো কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে হালাল কোনো কিছুকে হারাম করে ফেলি এবং সেগুলো না করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে?

৪. খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কি আকিদা গ্রহণ করা দরকার? খাবার খেলে আমাদের শক্তি আসে নাকি খাবার খেলে আল্লাহ আমাদের শক্তি দেন নাকি অন্য কোনো কিছু?

৫. কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মাজহাব না মানে তাহলে কি সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে নাকি ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না?

৬. ফরজ জ্ঞান অর্জনের জন্য কোন বইগুলো পড়া উচিত তার একটা তালিকা চাই।

আল্লাহ আপনার এ কষ্টের উত্তম প্রতিদান দিক।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কেহ যদি নামাজ পরার সময় আত্তাহিয়াতু না পড়ে,তাহলে শাহাদাত আঙ্গুল উঠাতে হবেনা।
,
عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَعَدَ يَدْعُو وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ وَوَضَعَ إِبْهَامَهُ عَلَى إِصْبَعِهِ الْوُسْطَى وَيُلْقِمُ كَفَّهُ الْيُسْرَى رُكْبَتَهُ

হযরত আমের আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূল সাঃ যখন তাশাহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন ডান হাতখানা ডান উরুর উপর এবং বাঁ হাতখানা বাঁ উরুর উপর রাখতেন। আর শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন এবং বাঁ হাতের তালু [বাঁ] হাঁটুর রাখতেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৩৩৬, সহীহ ইবনে হিব্বান-৫/২৭০}

عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ إِذَا جَلَسَ فِى الصَّلاَةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ إِصْبَعَهُ الْيُمْنَى الَّتِى تَلِى الإِبْهَامَ فَدَعَا بِهَا وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى بَاسِطُهَا عَلَيْهَا

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ নামায পড়ার সময় যখন বসতেন বৈঠক করতেন] তখন হাত দুইখানা দ্ইু হাঁটুর উপর রাখতেন। আর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির পার্শ্ববতী [শাহাদাত] আঙ্গুল উঠিয়ে ইশারা করতেন এবং বাঁ হাত বাঁ হাঁটুর উপর ছড়িয়ে রাখতেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৩৩৭}
,
আঙ্গুল উঠাতে হয় তাশাহুদের শেষ দিকে শাহাদাহ এর কালেমা পাঠ করার সময়,সুতরাং যদি কেহ তাশাহুদ না পড়ে,তাহলে তার আঙ্গুল উঠাতে হবেনা।

আরো জানুনঃ 

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে

"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)

"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং কেহ যদি কাফের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো বাক্য ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ দিয়ে বলে,এতে  যদি কুফরির নিয়ত না করে,তারপরেও সে কাফের হয়ে যাবে।

★কিন্তু  এ কথাটি যে কুফরি, সেটি না জেনে বললে আল্লাহ মাফ করবেন।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

আরো জানুনঃ 
,
(০৩)
যেই বস্তু উম্মাহর ঐক্যমতে হালাল,যার ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই,এমন হালাল কোনো বস্তুকে ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে হারাম মনে করলে সে কাফের হয়ে যাবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৪)
খাবার খেলে আল্লাহ আমাদের শক্তি দেন,খাবারের উসিলায় আল্লাহ শক্তি দেন,খাবার খেলে শক্তি হবে তাতে নেক আমল,ইবাদত করতে পারবো।
এই রকম আকীদা রাখতে হবে।
,
(০৫)
সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবেনা।
,
(০৬)
মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত আহকামে জিন্দেগী পড়ুন।
মাওলানা মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ এর লিখিত ইসলামী যিন্দেগী পড়ুন।
,
আর কুরআন ছহীহ করার জন্য কোনো শুদ্ধ তেলাওয়াত কারীর কাছে পড়ুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...