জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহিলাদের দায়িত্ব হল ঘরে অবস্থান করে সাধ্যমত দ্বীনের খেদমত করা,এবং সন্তানের তা'লিম তারবিয়্যাতের ব্যবস্থা সহ স্বামীর ঘরের হেফাজত করা।
পুরুষের দায়িত্ব হল,বাহিরে অবস্থান করে ব্যবসা-বাণিজ্য,চাকুরী ইত্যাদি সহ যাবতীয় বাহিরের কাজ আঞ্জাম দেয়া।
বর্তমান সময়ে যেহেতু নিজ ঈমান-আমল কে হেফাজত করা এবং সাথে সাথে অন্যকে আ'মলের প্রতি উৎসাহিত করা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।অনেক সময় অন্যর অা'মলকে চর্মচক্ষু দ্বারা অবলোকন করার পরই নিজের জন্য আ'মল করা সহজসাধ্য হয়। তাই এই হেকমতের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাবলীগ সমস্ত শর্তকে যত্নের সাথে পালনের নিমিত্তে ফুকাহায়ে কিরাম মাস্তুরাত জামাতের অনুমতি দিয়ে থাকেন।
তবে যদি কোনো শর্ত ছুটে যায় বা কোনো শর্তকে যত্নের সাথে আ'মলে নিয়ে আসা না হয়,তাহলে সেক্ষেত্রে মাস্তুরাত জামাতে যাওয়া বৈধ হবে না।
এক্ষেত্রে ফুকাহায়ে কিরাম নিম্নোক্ত জিহাদ ভিত্তিক কিছু হাদীস দ্বারা উক্ত মাস্তরাত জামাতের দলীল দিয়ে থাকেন।যদিও হাদীস গুলো জিহাদ বিষয়ে এসেছে,তথাপি এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে,
আমরা দেখছি পর্দার বিধান আরোপিত হওয়ার পরও মহিলা সাহাবিগণ জিহাদের ময়দানে অংশ নিয়েছেন,তাই তা'লিম তারবিয়্যাত এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও শরয়ী শর্তের ভিত্তিতে মহিলাদের জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن حديث عائشة، كل حدثني طائفة من الحديث، قالت: «كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا أراد أن يخرج أقرع بين نسائه، فأيتهن يخرج سهمها خرج بها النبي صلى الله عليه وسلم، فأقرع بيننا في غزوة غزاها، فخرج فيها سهمي، فخرجت مع النبي صلى الله عليه وسلم بعد ما أنزل الحجاب»
তিনি বলেন,যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরে বাহির হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন,তখন নিজ স্ত্রীগণের মধ্যে লটারী দিতেন।লটারির মাধ্যমে যার নাম বের হত তাকে নিয়ে সফরে বের হতেন।একবার একটি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য আমাদের মধ্যে লটারি দিলে লটারিতে আমার নাম উঠে আসল,তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে যুদ্ধে বের হলাম।এটা ছিলো পর্দা ফরয হওয়ার পরের ঘটনা।
সহীহ বুখারী-(শামেলা)২৮৭৯
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
প্রচলিত তাবলিগে যাওয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ