ছানি জামাত প্রসঙ্গে

Question

আসসালামু আলাইকুম।

১)আমরা বন্ধুরা মাঝে মাঝে প্রাইভেট শেষে আসরের নামাজ আদায় করি।ততক্ষণে মসজিদে জামাত শেষ হয়ে যায় আবার বাসায় যেতে নিলেও কাযা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মাঝে মাঝে মাগরিবের নামাজেও এরকম হয়।

তাই আমরা ৬-৭ মিলে একজনকে ইমাম বানিয়ে জামাতের স্থান থেকে পিছিয়ে জামাত আদায় করি। শুনেছি জামে মসজিদে নির্ধারিত ইমাম থাকলে দ্বিতীয় জামাত করা মাকরুহ।

তার সত্ত্বেও আদায় করলে কি নামাজ আদায় হবে?নাকি ফাসিদ হয়ে যাবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রশ্ন হল, মসজিদে জামাত পড়া ওয়াজিব? না বাড়িতে জামাত পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
উত্তরঃ
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
(قوله في مسجد أو غيره) قال في القنية: واختلف العلماء في إقامتها في البيت والأصح أنها كإقامتها في المسجد إلا في الأفضلية. اهـ
ঘরে জামাত পড়া কি মসজিদে জামাত পড়ার মত? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ মত হল,ঘরে জামাত পড়াও মসজিদে জামাত পড়ার মত।তবে সওয়াবে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।অর্থাৎ ঘরে জামাত পড়ার ধরুণ ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।তবে মসজিদের মত সওয়াব পাওয়া যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1365

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, বিনা জরুরতে মসজিদের জামাত ত্যাগ করা কখনো উচিৎ হবে না। যদি বিশেষ কোনো প্রয়োজনে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা হয়, তাহলে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত পড়া যাবে না।ফুকাহায়ে কেরাম ঐ মসজিদে দ্বিতীয় জামাতকে মাকরুহ বলেন, যে মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিন নির্দিষ্ট।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2830

সুতরাং জামাত হওয়ার পর মসজিদে দ্বিতীয় জামাত না করে বরং একাকি পড়ে নিতে হবে।

হ্যা, ঘরে বা মসজিদ ব্যতিত অন্য কোথাও জামাতের সাথে পড়ে নিলে সেই নামায আদায় হবে। মসজিদে দ্বিতীয় জামাত মাকরুহ, তা সত্বেও কেউ পড়ে নিলে নামায আদায় হয়ে যাবে।