আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
410 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
হানাফি আলিমগণ বলেন যে,

সফরে সুন্নাহ নামাজ পড়াটা উত্তম সুযোগ থাকলে....

কিন্তু নিচের হাদিস থেকে এটা দেখতে পাচ্ছি যে,নবীজি (স) সফরে সুন্নাহ ছেড়ে দিতেন।হাদিসের মানও সহিহ...

১.অপরদিকে হানাফি আলিমরা যে উত্তম বলেন এটা কোন হাদিসের আমালের ভিত্তিতে, জানতে আগ্রহী.....
২.আবু হানিফা(রহ) যেহেতু বলেছেন,উনার মতের বিপরীতে যদি কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায়,তাহলে ওটাই উনার মাযহাব...এই ক্ষেত্রে আমরা যারা হানাফি মাযহাব মানি,তারা কি নিচের হাদিসটির উপর আমাল করলে উত্তম হবে কিনা?


দুটি প্রশ্নের পয়েন্ট আকারে আলাদা উত্তর প্রদান করলে ভাল হয়....

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ - قَالَ - فَصَلَّى لَنَا الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ وَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى جَاءَ رَحْلَهُ وَجَلَسَ وَجَلَسْنَا مَعَهُ فَحَانَتْ مِنْهُ الْتِفَاتَةٌ نَحْوَ حَيْثُ صَلَّى فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ ‏.‏ قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا لأَتْمَمْتُ صَلاَتِي يَا ابْنَ أَخِي إِنِّي صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ثُمَّ صَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ وَقَدْ قَالَ اللَّهُ ‏{‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏}‏ ‏.‏

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন,আমি মাক্কার কোন একটি পথে ‘আসিম ইবনু ‘উমার-এর সাথে চলছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের সাথে করে যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং মাত্র দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। তারপর তিনি তাঁর কাফিলার মধ্যে ফিরে আসলেন। আমরাও তাঁর সাথে ফিরে আসলাম। তিনি সেখানে বসে পড়লে আমরাও তাঁর সাথে বসে পড়লাম। এ সময় যে স্থানে তিনি সলাত আদায় করেছিলেন সে স্থানে তাঁর দৃষ্টি পড়লে কিছু সংখ্যক লোককে সেখানে দাঁড়ানো দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এরা ওখানে কী করছে? আমি বললাম, তারা সুন্নাত পড়ছে। তিনি এ কথা শুনে বললেনঃ ভাতিজা, আমাদেরকে যদি সুন্নাত আদায় করতে হ’ত তাহলে আমি ফরয সলাত ও পূর্ণ আদায় করতাম। আমি সফরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থেকে দেখেছি আমৃত্যু তিনি দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করেননি। আমি সফরে আবূ বাক্‌রের সাথে থেকে দেখেছি আল্লাহ তাকে ওফাত দান না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। আমি সফরে ‘উমারের সাথে দেখেছি তিনি দু’রাক‘আত সলাতই আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “আল্লাহর রসূলের জীবনে তোমাদের অনুসরনের উত্তম নমুনা রয়েছে”-(সূরাহ আল আহ্‌যাব ৩৩ : ২১)। (ই.ফা. ১৪৪৯,ই.সে ১৪৫৮)
 
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪৬৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
by (3 points)
হাদিসটি সঠিকভাবে পেস্ট হয়নি,তাই এখানে হাদিসটি দিলাম হযরত,

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন,আমি মাক্কার কোন একটি পথে ‘আসিম ইবনু ‘উমার-এর সাথে চলছিলাম। এ সময় তিনি আমাদের সাথে করে যুহরের সলাত আদায় করলেন এবং মাত্র দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। তারপর তিনি তাঁর কাফিলার মধ্যে ফিরে আসলেন। আমরাও তাঁর সাথে ফিরে আসলাম। তিনি সেখানে বসে পড়লে আমরাও তাঁর সাথে বসে পড়লাম। এ সময় যে স্থানে তিনি সলাত আদায় করেছিলেন সে স্থানে তাঁর দৃষ্টি পড়লে কিছু সংখ্যক লোককে সেখানে দাঁড়ানো দেখতে পেয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এরা ওখানে কী করছে? আমি বললাম, তারা সুন্নাত পড়ছে। তিনি এ কথা শুনে বললেনঃ ভাতিজা, আমাদেরকে যদি সুন্নাত আদায় করতে হ’ত তাহলে আমি ফরয সলাত ও পূর্ণ আদায় করতাম। আমি সফরে রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে থেকে দেখেছি আমৃত্যু তিনি দু’ রাক’আতের অধিক আদায় করেননি। আমি সফরে আবূ বাক্রের সাথে থেকে দেখেছি আল্লাহ তাকে ওফাত দান না করা পর্যন্ত তিনি দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করেছেন। আমি সফরে ‘উমারের সাথে দেখেছি তিনি দু’রাক‘আত সলাতই আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “আল্লাহর রসূলের জীবনে তোমাদের অনুসরনের উত্তম নমুনা রয়েছে”-(সূরাহ আল আহ্যাব ৩৩ : ২১)। (ই.ফা. ১৪৪৯,ই.সে ১৪৫৮)
  

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪৬৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে সফর অবস্থায় সুন্নাত নামাজ পড়াও প্রমাণিত রয়েছে,তাই সুযোগ থাকলে সুন্নাত আদায় করা উচিত।
হানাফি মাযহাবে বলা হয়েছে যে নিরাপদ স্থান,সময় সুযোগ মিললে সুন্নাতও পড়া উত্তম।
তবে না পড়লে কোনো গুনাহ নেই।
,
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلَاءِ ثَلَاثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلَاتَنَا " . يَعْنِي صَلَاةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلَالٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلَاتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " إِنَّهُ لَا تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلَاةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ " .

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। সে সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিকে মনোনিবেশ করলে আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করি। তিনি বললেনঃ লক্ষ্য রাখ। আমি বললাম, এই একজন যাত্রী, এই দু’জন যাত্রী, এই তিনজন যাত্রী। এভাবে আমরা সাতজন হয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা আমাদের ফজর সলাতের ব্যাপারে সজাগ থাক। কিন্তু তাদের সবার কান বন্ধ হয়ে গেল (সকলেই ঘুমিয়ে পড়লেন) এবং গায়ে সূর্যতাপ না লাগা পর্যন্ত তারা ঘুম হতে জাগতে পারলেন না। অতঃপর ঘুম থেকে জেগে কিছু দূর সফর করে তারা (এক স্থানে) অবতরণ করে অযু করলেন। বিলাল (রাঃ) আযান দিলে সবাই প্রথমে ফজরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত, অতঃপর ফরয সলাত আদায় করে সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর পরস্পর বলাবলি করতে লাগলেন, আমরা (নির্ধারিত সময়ে) সলাত আদায়ে অবহেলা করেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঘুমের কারণে গাফলতি হলে দোষ নেই। কিন্তু জাগ্রতবস্থায় গাফিলতি করা অন্যায়। তোমাদের কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হলেই সলাত আদায় করে নেয়। আর পরবর্তী দিন যেন নির্ধারিত সময়ে সলাত আদায় করে (অর্থাৎ সলাত ক্বাযা করা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়)।

(আবু দাউদ ৪৩৭,মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ ছুটে যাওয়া সালাতের ক্বাযা), আহমাদ (৫/২৯৮), ইবনু খুযাইমাহ (৪১০) ‘আব্দুল্লাহ ইবনু রাবাহ সূত্রে।)
 
আরো জানুনঃ 
,
(০২)
সফর অবস্থায় সুন্নাত নামাজ পড়া জরুরী নয়,কারন রাসুলুল্লাহ সাঃ থেকে সুন্নাত পড়া এবং না পড়া উভয়টিই প্রমাণিত। 
,
তাই সফর অবস্থায় সুন্নাত ছেড়ে দিলেও হাদীসের উপরেই আমল হবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
0 votes
1 answer 126 views
...