ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) আনার জন্য শর্ত হল, আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করা ও রাসূলুল্লাহ সা. এর নবুওয়তের উপর সাক্ষ্য প্রদান করা । সুতরাং এ দু’টি বিষয়ের উপর ঈমান নিয়ে আসলে তাকে ঈমানদার ভাবা যাবে। এর বিপরিত কোনো প্রশ্ন আসলে আল্লাহর তাকদীর বা আকার নিরাকার ইত্যাদি নিয়ে কোনো চিন্তা আসলে সাথে সাথেই আল্লাহ ভালো জানেন বলে দেওয়া।
(২)
নামাযের তাকবীর তাসবিহ সমূহ বাংলাতে বললে নামায হবে। তবে কেরাত আরবীতে পড়তে হবে। আরবীতে কেরাত পড়া ফরয।
(৩)
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1411
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেরাত অশুদ্ধ হওয়ার জন্য নামাযকে পরিত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। যে যেভাবে পারবে, সে সেভাবেই নামাযকে আদায় করবে। আপানর বর্ণিত সূরতে সে কাফির হবে না,কেননা সে তো নামাযকে আর অস্বীকার করছে না।
(৪)
কোনো মুসলিম আল্লাহর নামে ইচ্ছাকৃতভাবে মনে মনে শিরকমূলক এবং গালিমূলক কথা বললে মুসলিম কাফের হয়ে যাবে । তবে তার উপর কাফিরের বিধান প্রয়োগ হবে না। যেহেতু সে মুখ দ্বারা এখনও স্বীকার করছে না।
(৫)
ঈমান আনয়নের জন্য তকদির সম্পর্কে এতটুকু ধারণা রাখা জরুরী যে, ভালো মন্দ সবকিছু আল্লাহর তরফ থেকে আসে।
যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে একটু খেয়াল করে দেখেন
ইবনু মুহাইরীয (রহ.) হতে বর্ণিত।
عن ابن محيريز، أنه قال: دخلت المسجد، فرأيت أبا سعيد الخدري فجلست إليه، فسألته عن العزل، قال أبو سعيد: خرجنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوة بني المصطلق، فأصبنا سبيا من سبي العرب، فاشتهينا النساء، واشتدت علينا العزبة وأحببنا العزل، فأردنا أن نعزل، وقلنا نعزل ورسول الله صلى الله عليه وسلم بين أظهرنا قبل أن نسأله [ص: ١١٦] ، فسألناه عن ذلك، فقال: «ما عليكم أن لا تفعلوا، ما من نسمةكائنة إلى يوم القيامة إلا وهي كائنة»
তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বানূ মুসতালিকের যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে আসক্তি জাগে এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্থা আমাদের জন্য কষ্টকর অনুভূত হয়। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করতে মনস্থ করলাম। তখন আমরা পরস্পর বলাবলি করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে আছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ওটা না করলে তোমাদের কী ক্ষতি? ক্বিয়ামাত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই। (সহীহ বুখারী,শামেলা-৪১৩৮)