ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً
অর্থ : আল্লাহ তা'আলার নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হল; তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও অন্তরঙ্গতা সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রূম-২১)
অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে,
ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ
তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। (সূরা বাকারা-১৮৭)
হযরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,
أَكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا وَخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ خُلُقًا
“পূর্ণ ঈমানদার সেই ব্যক্তি যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। আর তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।” (তিরমিযীঃ ১১৬২)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لَا يَفْرَكْ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ أَوْ قَالَ: غَيْرَهُ (رواه مسلم- كتاب الرضاع- باب الوصية بالنساء- ২৬৭২)
“কোন মুমিন পুরুষ যেন কোন মুমিন স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা না করে। তার আচার-আচরনের কোনো একটি অপছন্দনীয় হলেও অন্যটি সন্তোষজনক হতে পারে।” [মুসলিম, ১৪৬৯]
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর চিন্তাভাবনার সবটুকুতেই স্বামীর সর্বোপরি কল্যাণ কামনা থাকা চাই। এবং স্ত্রী এমন হওয়া চাই যে, স্বামী বাহিরের সকল ঝামেলার মধ্যেও ঘরে এসে প্রশান্তি পাবে। প্রশ্নে বর্ণিত সমস্যার মূল কারণ ইসলামী শিক্ষার দৈন্যতা। কাজেই বলবো, ইসলামী ইতিহাস বেশী বেশী করে পড়বেন। ইম্মুল মু'মিনিনদের জীবন ইতিহাস রপ্ত করবেন। দ্বীনদার মানুষের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।