আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,,,ওস্তাদ আমার বিয়ের সময় ঘটক(আমার মামা)পাত্র পক্ষকে বলেছিলেন যে ছেলের হাত খরচ চালাবে।।ছেলে বেকার ছিল।।তখন আমার বর পক্ষ   বলেছেন লাগবে না।।।উনাদের ছেলে মাসে ২০হাজার ইনকাম করেন।।।এরপর ঘটক(আমার মামা) বলেছিল ছেলের ঘর সাজিয়ে দিবে।।।এখন বিয়ের পর আমার মা ছেলের কোন হাত খরচ দেয় নাই।।।এটা সত্যি।।।কিন্তু বর যখনই ১০০০হাজার টাকারও বাজার করতো। আমার মা সেই টাকাও দিয়ে দিতেন।।এটা এখন আমার বরের মনে নাই।।।উনাকে এক টাকাও দেন নাই।।।।আমার কোন আত্নীয় এর বাসায় যাওয়ার খরচ আমার মা দিতেন।।।এটাও মনে নাই।।আমাদের ঘুরতে যাইতে আমার মা খরচ দিয়েছেন। এরপরও দেন নাই।।এটাও মনে নাই।।।আমাদের বাড়ি থেকে ঈদের জামা দিয়েছেন উনাদের ১৫ জনকে।।।উনাদের মন মত হয় নাই।।।ইফতারি পাঠাইছে মন মত হয় নাই।।।খাসি পাঠায় নাই।।।জামাইকে ইজ্জত দেয় নাই।।কিন্তু গরু কুরবানি গোসত দিয়েছেন।।এগুলো দিয়ে নাকি জামাইকে সম্মান করা হয়।।।।যেহেতু উনাদের মন মত দেওয়া হয় নাই।।।তাই উনারা সম্মান করে নাই।।।এখন আমার জামাই আমার শাশুড়ি কথা শুনায় আগে বলেছিল ছেলের খরচ দিবে সেটা দেয় নাই।।।বাসা সাজাইয়া দিবে সেটাও দেয় নাই।।।এখন বাসায় উঠার সময় আম্মু প্রায় ৫হাজার টাকার জিনিস কিনে দিয়েছেন আর ৫০হাজার দিয়েছেন।।।।এর আগে বলেছিল ১লক্ষ দিবে।।।কিন্তু মাঝে আমার ভাইয়ের বিয়ের কারনে দিতে পারে নাই।।।এখন কথা শুনায় যে আমার ভাইয়ের বিয়েতে কেন তারা আমার টাকা খরচ করবে।।।এটা তারা ঠিক করে নাই।।।এটার জন্যও কথা শুনাচ্ছে।।।আমি যত কথা আমার বরকে শেয়ার করি সব কিছু উনি উনার মার সাথে শেয়ার করেন।।।।এরপর দুই জনেই আমাকে কথা শুনান।।।আমার প্রশ্ন আমার ফ্যামিলি যে আগে বলছে দিবে এখন দেয় নাই।।।এখন তারা কি অপরাধী??? আর আমার স্বামী আর শাশুড়ি যে আমাকে কথা শুনায় তারা কি ঠিক???

আমার মা আমাকে গলার হার,,কানের দুল,,হাতের চুরি দিয়েছেন,,জামাইকে চেইন,,একটা আংটি দিয়েছেন,,,৫হাজার টাকা দিয়েছে পাঞ্জাবি বানাতে।।।

এছাড়া লেপ+কম্বল +তোশক+বালিশ+চাদর+পাটি+পাখা+জায়নামাজ +ডিসেনটেবিল=মা দিয়েছেন

আমার ফুফাতো বোন কানের দুল+আমার খালা আংটি দিয়েছেন,,,ফুফুরা আলমারি দিয়েছেন,,ফুফুতো ভাই ডিনার সেট দিয়েছেন,,+এখন ৫০হাজার দিয়েছে আরো ৫হাজার টাকার জিনিস দিয়েছেন।।।। বিয়ের পর ৮০% খরচ আমার মা দিয়েছেন।।।

এরপরও আমার মা কিছু দেয় না।।।উনারা সব দিয়েছেন।।।আমার মা নাকি বিয়ে দিয়েই শেষ।।। আরো যে কত খরচ আছে তা কিছুই চোখে দেন নাই।।।বিয়ে দিয়েই নাকি আমার মা হাফ ছেড়ে বাচছেন।।বিয়ের পরও যে দায়িত্ব আছে তা পালন করেন নাই।।।।বিয়ের পর আমার ওষুধ খরচ ৯০%আমার দিয়েছেন।।।তেল,,স্নু,,সাবান আমার মা দিয়েছেন।।।

এখন প্রশ্ন তারা কি ঠিক???

আর আমার মামা আগে বলে এখন যে আমার মা দেয় না তাই আমার মা অপরাধী???

1 Answer

0 votes
by (686,400 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বিবাহের ক্ষেত্রে মেয়ের বাবা যদি জামাইকে কিছু দেয়,সেক্ষেত্রে যদি কোনো সামাজিক চাপ কিংবা প্রথাগত বাধ্য-বাধকতা না থাকে,বরং মেয়ের বাবা কোনোরকম চাপ ছাড়া সন্তুষ্টি চিত্তেই দেয়,এবং না নিলে মেয়ের বাবা অসন্তোষ প্রকাশ করেন,তবে তাহা গ্রহন জায়েজ হবে । অন্যথায় তা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম হয়ে যায়। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার ফ্যামিলি আগে যাহা দিতে চেয়েছেন,তার পুরোপুরি দেননি।
এর জন্য আপনার ফ্যামিলি কোনোভাবেই অপরাধী নয়।

এক্ষেত্রে আপনার ফ্যামিলি যদি এক টাকাও না দিতো,তবুও আপনার ফ্যামিলি ইসলামের দৃষ্টিকোণ হতে অপরাধী হতোনা।

কেননা ইসলাম এক্ষেত্রে আপনার বাবার উপর কোনো টাকা/আসবাবপত্র দেয়ার নিয়ম বেধে দেয়নি।
যদি কিছু দেয়,তবে তাহা ব্যাক্তিগত বিষয়, ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী, শাশুড়ি যে আপনাকে কথা শুনায়, তারা এক্ষেত্রে আপনার উপর জুলুম করছে,মারাত্মক অপরাধ মূলক তারা করেছে।

তাদের এহেন কথাবার্তা ও কাজ কোনো ভাবেই ইসলাম সমর্থিত নয়।
এভাবে চাপ দিয়ে কোনো কিছু নিলে তাহা গ্রহন তাদের উপর হারাম হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি ধৈর্য ধারন করবেন,স্বামীকে ফতোয়া বুঝাবেন।
এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার নিকট তাদের হেদায়াতের জন্য দোয়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...