আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১)পিরিয়ড চলাকালীন ৫টি রোজা কাযা হয়েছে সেগুলো আর শাওয়াল মাসে ৬ রোজা  দুইটা যদি একসাথে থেকে দেই তাহলে কি হয়ে যাবে নাকি আলাদা আলাদা থাকতে হবে? চাচ্ছিলাম যে দুইটা একসাথে থেকে দেই,,,তাহলে কি আদায় হবে?
২)ঘুমানোর পূর্বে যে  আমলগুলো রয়েছে সুরা মূলক পাঠ করা সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার আয়তাল কুরসি এগুলো কি ওযু করেই পড়তে হবে,,, যদিও ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে ঘুমানো উত্তম,,, হঠাৎ যদি ওযু ভেঙে যায় বা  ওযু করতে মনে না থাকলে সে ক্ষেত্রে অজু ছাড়ায় এগুলো পড়া যাবে কিনা?
৩) হায়েজ অবস্থায় যেহেতু কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই সে ক্ষেত্রে কি ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়া যাবে?

৪)  পানের সাথে জর্দা খেলে কি নামাজ কবুল হয়,,, যেহেতু এবাদত কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে হালাল-হারাম বেঁচে খাওয়া সে ক্ষেত্রে জর্দা খেলে কি নামাজটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,,,আম্মুকে মানা করার পরেও সহজে ছাড়তে পারে না জর্দা খাওয়াটা,,সেক্ষেত্রে কি উনি গুনাগার হচ্ছে?

৫) বিতর নামাজ তো ৩ রাকাত কিন্তু  শুনেছি যে বিজর পড়া লাগবে,,, ১ রাকাত ও নাকি  পড়া যায় তাই আমি যখন খারাপ লাগে তখন ১  রাকাত পড়ে দেই,,,১ রাকাত কি পড়া যায়?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রমজানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের নফল রোযাকে একত্রে রাখা যাবে না। কেউ একত্রে রাখার নিয়ত করলে তখন রমজানের কাযা রোযা হিসেবেই আদায় হবে।
الفتاوى الهندية (1/ 196)
"ومتى نوى شيئين مختلفين متساويين في الوكادة والفريضة، ولا رجحان لأحدهما على الآخر بطلا، ومتى ترجح أحدهما على الآخر ثبت الراجح، كذا في محيط السرخسي. فإذا نوى عن قضاء رمضان والنذر كان عن قضاء رمضان استحساناً، وإن نوى النذر المعين والتطوع ليلاً أو نهاراً أو نوى النذر المعين، وكفارة من الليل يقع عن النذر المعين بالإجماع، كذا في السراج الوهاج. ولو نوى قضاء رمضان، وكفارة الظهار كان عن القضاء استحساناً، كذا في فتاوى قاضي خان. وإذا نوى قضاء بعض رمضان، والتطوع يقع عن رمضان في قول أبي يوسف - رحمه الله تعالى -، وهو رواية عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - كذا في الذخيرة".
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3778

(২) অজু সহকারে মুখস্থ কুরআন তিলাওয়াত মুস্তাহাব ও উত্তম। তবে অজু ব্যতিত কুরআন স্পর্শ করা কখনো জায়েয হবে না। ঘুমানের পূর্বে অজু না থাকলেও মুখস্থ সূরা মূলক পড়তে কোনো বাধা নেই।

(৩) হায়েজ অবস্থায় ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/389

(৪) 
শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ খাওয়া হারাম।দুর্গন্ধযুক্ত জিনিষ আহার করা মাকরুহে তানযিহি।হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ সুকর বা নেশার অর্থ হচ্ছে এমন জিনিষ যা খেলে ব্রেইন আউট বা স্বৃথী শক্তিতে পরিবর্তন ঘটে।শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ পান চুন-জর্দা সহ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।তবে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা কতইনা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৮/৩৮০-৪০৮)

ধুমপান এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/56235

(৫) বিতির তিন রাকাতই পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...