আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in সালাত(Prayer) by (28 points)
১) হানাফি মাযহাব অনুসরণ করি, নামাজ পড়ার সময় মাঝে মাঝে নিয়ত বাঁধা অবস্থায় দুই হাত থেকে এক হাত সরিয়ে নিলে বা উভয় হাত যদি সরিয়ে নি তাহলে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
২) তাজবীদ নতুন  করে শিখছি আলহামদুলিল্লাহ, এখন কোরআনের মাদ হরকত সব ঠিক রেখে পড়ার চেস্টা করছি।রমাদানে ২খতম দেওয়ার নিয়ত রয়েছে রমাদানে কোরআন দ্রুত না পড়লে ২ খতম দেওয়া হবে না। এখন আমি যদি দ্রুত পড়ি তাহলে মাদ,কলকলা,হরকত তানভীন ভুল হয়,আবার সব ঠিক রেখে পড়লে অনেক বেশি সময় লেগে যায় ১ পাতা পড়তে। খতম দেওয়ার নিয়তে আমি যদি তাজবীদ ঠিক রাখার চেস্টা করে  তাড়াতাড়ি পড়ি আর মাঝে তাজবীদ ভুল হয়। তাহলে কি গুণাহের ভাগীদার হবো?

৩) নামাজরত অবস্থায় শুধু শরীর ঠিক রেখে  মাথা নাড়িয়ে থুথু ফেললে এটার বিধি নিষেধ কি?

৪) আমার আশেপাশে  অনেক মানুষকে রয়েছে , যারা জানেন তাদের সামনেরজন ভুল করছেন,একদম হারাম না হলেও খারাপ কাজ করছেন তবুও সর্তক করেননা। শুধুমাত্র সম্পর্ক ভালো  রাখার খাতিরে  সর্তক করেননা হোক বিনয়ের সাথে বা নিষেধ করে।আবার অনেকে মনে করেন এটা যদি বলি তাহলে তার কাছে আমি খারাপ হয়ে   যাবো,সম্মান/পাত্তা পাবো না। মানে দুনিয়াবি স্বার্থের খাতিরেই তারা সর্তক করেননা এই বিষয়টায় দ্বীন কি বলে একটু ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।

৫)সবর রাখার কোনো আমল আছে কি?
৬) মাথা মাসেহের সময় কি কালেমা শাহাদাত পড়তে হয়।টর হুকুম কিঁ

1 Answer

0 votes
by (712,680 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযে হাত বাঁধা সুন্নত। সুতরাং নামায পড়া অবস্থায় দুই হাত থেকে এক হাত সরিয়ে নিলে বা উভয় হাত যদি সরিয়ে নেয়া হয়,কিংবা উভয় হাতকে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

দ্রুত পড়ে খতম না করে বরং ধীরসুস্থে তারতীল ও তাজবীদের সাথেই কুরআন পড়া উচিৎ।

(৩)
নামায রত অবস্থায় থুথু বাহিরে ফেলা মাকরুহ।নামায ফাসিদ হবে না।

(৪)
সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে যদি কেউ কাউকে গোনাহের কাজ থেকে ফিরিয়ে না রাখে, তাহলে এজন্য গোনাহের একাংশ ঐ ব্যক্তিরও হবে, যে সম্পর্ক রক্ষার চিন্তায় রয়েছে।

(৫)
আল্লাহ কাছে দু'আ করা,যাতেকরে আল্লাহ সবরের তাওফিক দান করেন।

(৬)
মাথা মাসেহের সময়ে কালেমা পড়ার কোনো নিয়ম নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 104 views
...