আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
1. ইমাম সাহেব যখন সূরা ফাতহা শেষ করে ভিন্ন সূরাতে চলে গেলেন, তখন নামাজে আমি শামিলা হলাম, যেহেতু তিনি সূরা পড়ছেন, আমি সানা পড়ব কখন?
2. ফরজ নামাজের তৃতীয় রাকাত থেকে মুসল্লিদের হুকুম কি? সে নি:শব্দে সূরা পড়বে? যদি আমি পড়িই, তখন দেখা যাচ্ছে, আমি কোন এক আয়াতের অর্ধেকে আসছি, এমতাবস্থায় ইমাম রুকুতে চলে গেছেন, তখন আমিও চলে যাব আয়াত শেষ না করে?
3. আমি যদি তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে জামাত পাই, ইমাম সাহেবের নামাজ শেষের পরে, আমি কি প্রথম রাকাত থেকে যেভাবে নামাজ পড়ে অর্থাৎ সানা, তাতপর সূরা ফাতিহা, য়াতপর অন্য সূরা মিলিয়ে, রাকাত শেষ করব এবং পরবর্তী যত রাকাত মিস করেছি তা আদায় করব? কনফিউশান হয়েছে, এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছেন উল্টো করে নামাজ আদায় করা, অর্থাৎ আগে তৃতীয়, তারপর দ্বিতীয় এভাবে।
4. কখন কখন সিজদাহ সাহু দিতে হয় এরকম কোন তালিকা প্রদান করলে উপকৃত হতাম।
5. যোহরের সালাত আদায়ের সময়ে, মসজিদে যেতে যেতে জামাত দাড়িয়ে গেলে, আগে তো অবশ্যই জামাত ধরব, প্রশ্ন হল, জামাতের পরে কি আগে দুই রাকাত সুন্নত আদায় করব নাকি আগে চার রাকাত সুন্নত যেটা ফরজের আগে আদায় করার কথা ছিল সেটা?
6. ফরজ নামাজ আদায়ের পড়ে আমলের কোন লিষ্ট থাকলে ভাল হয়, একবার কোন এক মসজিদে একটি তালিকা আমার নজরে আসে, ফরজের পড়ে, মাথায় হাত রেখে আস্তাগফিরুল্লাহ ৩ বার, তারপর আল্লাহু আকবার ৩ বার, আল্লাহুম্মা আন্তাস ছালাম ওয়া মিনকাস ছালাম ৩ বার, আয়াতুল কুরসি ১ বার, সুরা ইখলাস ১ বার (ফজর ও মাগরিবে ৩ বার), সুরা ফালাক ১ বার (ফজর ও মাগরিবে ৩ বার), সুরা নাস ১ বার (ফজর ও মাগরিবে ৩ বার), ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার সুবাহান আল্লাহ ৩৩, আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। এভাবেই আমল করে আসছি, প্রশ্ন হল, এগুলোর কোন অথেন্টিক রেফারেন্স আছে প্লিজ? এবং সম্পূরক প্রশ্ন হল, যোহর, মাগরিব ও এশা তে তো ফরজের পড়ে আরও নামাজ আছে, সেক্ষেত্ত্রে উক্ত আমল গুলো কি সম্পূর্ণ নামাজ শেষে করা যাবে কিনা, নাক ফরজের পড়েই করতে হবে?
7. প্রস্রাবের ফোটা পড়লেই সেই স্থান নাপাক হয় বলে জানি, সেই স্থান ধুয়ে আবার উযু করে সালাত আদায় করতে হয় বলে জানি, কিন্তু আমার মনে হয় আমার প্রস্রাবের ফোটা শেষ হচ্ছেই না, এমনও হয়, প্রস্রাব শেষে উযুও করেছি, এরপর মনে হচ্ছে আরেকটু রয়ে গেছে, আবার বসেছি, কয়েক ফোটা এসেছেও, তারপর আবার উযু করে সালাতে গিয়েছি, এই অনুভুতি শেষ হয় না আমার, সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। ঠিক কতক্ষণ পড়ে আমি চলে যেতে পারি? বা বিধানটা কি আসলে।
8. বায়ু নির্গত হলে কি, নির্গতের স্থান ধৌত করে তারপর উযু নাকি শুধুই উযু করলে হবে?
9. কছরের সালাতের বিধান কি? আমি পড়তে চাই, আমি চাকরি সুত্রে ঢাকা থাকি, বাবা মা চট্টগ্রামে, আমি সেখানে বেড়াতে গেলে প্রায়ই বিমানে যাই, আলহামদুলিল্লাহ আমার যেহেতু শারিরীক কোন কষ্টই হয় না, আমি সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করি, কিন্তু আমার বাবা, আলহামদুলিল্লাহ একদম শারিরীকভাবে বেশ সুস্থ, তিনি আমার বাসায় আসলে কছর আদায় করেন। একটু পরিষ্কার করে বললে উপকৃত হব।
10. জুমার নামাজ নিয়ে প্রায়শই মনে সন্দেহ আসে, আমাকে ক্রমটা বলে দিলে উপকৃত হব, মসজিদে গিয়েই চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ি, তারপর ফরজ, এবং শেষে আবার চার রাকাত সুন্নত পড়ি, এভাবেই পড়ে আসছি, কিন্তু মাঝে মাঝেই শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে,  ফরজের আগে নামাজ পড়ি না, বা ফরজের পড়ে সুন্নত দুই রাকাত পড়ি, আসল বিধানটা জানাবেন প্লিজ।
11. জুমার দিনে নবী (সা:) এর উপর দরুদ পড়তে হয়, এতদিন আমি নামাজে সাধারণত যেই দরুদ পড়ে, সেটাই পড়তাম, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ...............ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ, কিন্তু সেদিন দেখলাম, আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাব্যিয়িনা মুহাম্মদ পড়লেই আমার আমল হিয়ে যাবে এরকম লিখা আমি পেয়েছি, প্রশ্ন হল, অথেনটিক দরুদের কোন তালিকা আছে? যদি ছোট কোন দরুদ পড়লেই আমার আমল হচ্ছে, তাহলে তো এটা অনেকবার পড়া সহজতর।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...