বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
قال ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻻ ﻧﻜﺎﺡ ﺇﻻ ﺑﻮﻟﻲ ﻭﺷﺎﻫﺪﻱ ﻋﺪﻝ )
ওলী তথা অভিভাবক এবং দু'জন সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হবে না।
সুনানে বায়হাক্বী-৭৫৫৭
ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ.
প্রমাণ ছাড়া বিয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না।
সুনানে তিরমিযি-২/৪০৩
মোল্লা আলী কারী রাহ ইবনুল হুমাম রাহ এর উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেন,
ثُمَّ قَالَ ابْنُ الْهُمَامِ: أَمَّا اشْتِرَاطُ الشَّهَادَةِ فَقَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «لَا نِكَاحَ إِلَّا بِشُهُودٍ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হবে না।
মিরকাত-৩১৫২ নং হাদীসের ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য।
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওলী নাবালেগের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু সাক্ষী বালেগ-নাবালেগ সবার জন্যই প্রযোজ্য।
দুই সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে হবে না।
আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল-৫/৪৩
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
দু'জন পুরুষ সাক্ষী এবং একজন পুরুষ ও দু'জন মহিলা সাক্ষীর সাক্ষ্য ব্যতীত বিয়ে শুদ্ধ হয়না।
প্রথমত আপনি তাকে বউ/স্ত্রী বলেছিলেন,এতে তার সম্মতি পেয়েছিলেন কি না? সেটা উল্লেখ করেনননি।দ্বিতীয়ত আপনি তাকে যখন স্ত্রী/বউ বলেছিলেন,তখন দু'জন সাক্ষী উপস্থিত ছিলো কি না? সেটাও উল্লেখ করেননি।
যদি তার সম্মতি না থাকে বা দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এরকম আলোচনা না হয়ে থাকে তাহলে বিয়ে হয় নাই।তবে যদি দু'জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে হয়ে থাকে,এবং তাতে ঐ মহিলার সমর্থন থাকে তাহলে বিয়ে হয়ে যাবে।
পূর্বের জীবনের উপর অনুতপ্ত হয়ে অাল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন।এবং ভবিষ্যতে যাতে এ রকম পরিস্থিতির স্বীকার না হতে হয় সেটার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ