আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমার বড় বোন তিন বছরের উপরে হলো জাদু এবং ওয়াস ওয়াসা রোগে আক্রান্ত। কবিরাজ বা অন্যান্য হুজুর যারা এসবের চিকিৎসা করে তাদের অধিকাংশই কুফরী করে অথবা জীন দিয়ে চিকিৎসা করে। এগুলো হারাম জেনে আপু এই চিকিৎসা গ্রহণ করে না এবং আমিও এতে আপুকে হেল্প করি। এতে আব্বুসহ অন্যান্য আত্মীয়রাও আমাদের উপর ক্ষীপ্ত।  তারা কয়েকবার জোর করে কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আপু সেটা নেয়নি। বর্তমানে আপুর অবস্থা এই যে আপু নিজের কোন কাজ নিজে করতে পারে না। দিনে ৫-৬ ঘন্টা বাথরুমে থাকে। অবস্থা এমন যে তার ভিতরে শুধু রুহ বাকি আছে। আবার ইদানিং আমাদের মধ্যেও এমন কিছু অবস্থা দেখা যাচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে আমাদের উপর ও জাদুর প্রভাব পড়ছে (আল্লাহ ভালো জানেন)। আমার আম্মু মাঝেমধ্যে বুঝেন আবার মাঝেমধ্যে কবিরাজি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলতেথাকেন। তিনি আমাকে দোষারোপ করেন যে আপুর সমস্যার কারণে আপু সেই চিকিৎসা নেয় না আর আমি বুঝেশুনে নিষেধ করি। এখন আমার আম্মু চাইছে কাউকে দিয়ে জাদু যাতে কাজ না করে সেই ব্যবস্থা নিতে কিন্তু কাউকে তাবিজ দিবে না এবং আমাকে বলছে যেন আমি আপুকে না বলি কারণ আপুকে বললে আপু এটা করতে দিবে না। এখন আমি যদি না বলি তাহলে কি আমিও এই গুণাহের শামিল হবো?

এই অবস্থায় আমার কী করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
«من أتى عرافا فسأله عن شيء، لم يُقبل له صلاة أربعبن ليلة»
যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে আসে এবং তাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোনো সালাত কবুল হয় না।[2]
عن ابى هريرة رضى الله عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من اتى كاهنا فصدقه بما يقول فقد كفر بما أنزل على محمد صلى الله عليه وسلم
যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর কাছে আসলো এবং সে যা বলল তা সত্য মনে করলো, সে মূলত: মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস করলো।’’(আবু দাউদ, সোলাইমান ইবন আশ’আছ, সুনান আবী দাউদ, দারুল জীল, বৈরুত ১৯৯২, ৪খ, পৃ. ১৪)
  .

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুফরি/শিরকের মাধ্যমে কেউ চিকিৎসা করেন,সেটা জানা সত্বেও সেখানে চিকিৎসা করানো এবং এই কাজে সাহায্য সহযোগিতা করা কোনোটাই জায়েয হবে না। তবে যদি কেউ কুফর শিরক ব্যতিত বৈধ কালাম দ্বারা তদবির করে, সেহের-যাদুকে নষ্ট করার জন্য তদবির করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির চিকিৎসা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। আপনার আম্মুর যার কথা বলেছেন, তিনি যদি বৈধ কালাম দ্বারা চিকিৎসা করে থাকেন, তাহলে তার মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আপনার বোন সেলফ রুকইয়াহ করবেন এবং মনোবিজ্ঞানী ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আপু বেশ কয়েকবার রাকির কাছে গিয়েছে কিন্তু সেল্ফ রুকইয়াহ ঠিকমতো করতে পারে না,করতে গেলেই বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ডাক্তার দেখিয়েছেন ওষুধ ও চলছে কিন্তু বিশেষ পরিবর্তন পাওয়া যাচ্ছে না।আর আম্মু যার কাছে যেতে চাচ্ছে সে কিভাবে চিকিৎসা করে তা জানাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়।এখন আমার কি করা উচিৎ?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...