আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমরা অনেক সময় দেখি যে আরবি বাংলা উচ্চারণে লিখতে গিয়ে বেশিরভাগ জায়গায় ই আমার দেখা এ পর্যন্ত , এমন ভাবে লিখে যেমন মুহাম্মাদুর (রা)সুলুল্লাহ(সা:), যেখানে র লেখার কথা ছিলো, খুবসি ওয়াল (খা)বাইস , যেখানে খবাইস লিখার কথা।
এভাবে বাংলায় খ, না লিখে খা, র না লিখে রা এভাবে কেন লিখে ?? যেহেতু সঠিক ভবেই লিখা যাচ্ছে। যদিও মাখরাজ টা তো আর বাংলা লিখা উচ্চারণ দিয়ে হবে না কিন্তু কিছুটা তো কাছাকাছি লিখা যায়। কারণ আমরা তো র জবর রা পরি না র জবর র পড়ি। তাহলে বাংলায় উচ্চারন লিখার সময় এমন করে কেন লিখে। যেকোনো দুয়াআর স্টিকার, বই , এমন কী মসজিদের মিম্বারের উপরে ওখানে ও।
জাযাক আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (55,830 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/49280/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় পবিত্র কোরআনের সঠিক উচ্চারণ অসম্ভব। তাই কোরআনকে অন্য ভাষায় লেখা বা পড়া ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে নাজায়েজ। এতে কোরআনের শব্দ ও অর্থ বিকৃত করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত বাংলা উচ্চারণের কোরআন পড়ার কোনো সুযোগ নেই। (আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন, পৃষ্ঠা : ৮৩০)


আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করে, তারা নেককার সম্মানিত ফেরেশতাদের সমতুল্য মর্যাদা পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়, তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৫৪)


কুরআন মাজিদ আল্লাহ তা’আলার কালাম। আল্লাহ তাআলা তা আরবিতে অবতীর্ণ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে,

‘নিশ্চয় আমি আরবি কোরআন অবতীর্ণ করেছি।’ [সূরা ইউসুফ: ২]


তাই আমাদের জন্য জরুরি হলো আরবিতেই কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা। বাংলায় উচ্চারণ করা ঠিক নয়।

তাছাড়া আরবিতে এমন কিছু অক্ষর রয়েছে যেগুলোর প্রতিবর্ণ বাংলা ভাষায় নেই। ফলে সে অক্ষরগুলো উচ্চারণ করার সময় ভুল উচ্চারণ করার কারণে আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


বিদেশী ভাষার উচ্চারণ লেখার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই হিসাবে এভাবে প্রচলন হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের জন্য উচিত হলো এমন ভাবে আরবীর উচ্চারণ লেখা যা আরবী উচ্চারণের ক্ষেত্রে অধিক নিকটবর্তী।

তবে যিনি পড়বেন তিনি সহীহ শুদ্ধ ভাবে পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...