আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

এখানে "তাকে" ও "তার" জায়গায় "উনাকে" ও "উনার" ব্যবহার করা যাবে?

যেমন: কেউ উনাকে জন্ম দেয়নি এবং উনার সমতুল্য কেউ নেই। বা উনার মত কোন কিছুই নেই।
বাংলা কোরআন থেকে যেভাবে অনুবাদ করা হয়েছে সেভাবেই পড়তে হবে?বা আমি কি তিনি শব্দের জায়গায় উনি ব্যবহার করে বলুন, উনি আল্লাহ, এক । এভাবে বলতে পারি?

প্রশ্ন ২- সূরা ফাতিরের বাংলা অর্থ দেখলাম "আদি স্রষ্টা"। এখন আদি স্রষ্টা অর্থ কি?

প্রশ্ন ৩- আমরা জানি,ইখলাস শব্দের অর্থ একত্ববাদ।এক জায়গায় দেখলাম ইখলাস শব্দের অর্থ নিরেট খাঁটি বিশ্বাস।দুইটা শব্দের অর্থ কি একই?

প্রশ্ন ৪: আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম। নাকি আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতান রাজিম?কোন উচ্চারণটি সঠিক?আর এটি কি কোরআনের আয়াত?এবং সূরা পাঠের আগে এটি পড়া কি বাধ্যতামূলক?

প্রশ্ন ৫: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কে দেখি কেউ কেউ বিসমিল্লাহ আর রাহমান আর রাহীম বলে।এক্ষেএে দুইটি কি সঠিক?এই বাক্যটিও কি কোরআনের আয়াত এবং পড়া বাধ্যতামূলক?

প্রশ্ন ৬: আমার বাংলায় আয়াত গুলো পড়লে বিভিন্ন অর্থ ও শব্দের কথা মাথায় এসে অর্থ জানতে ইচ্ছে করে এবং অস্থিরতা কাজ করে।আমার মনে হয় আমি ভুল করে ফেলতেছি নাকি এবং উল্টা-পাল্টা চিন্তা মাথায় আসতে থাকে।আমি অনেক গুলির উওর জানি কিন্তু কাউকে জিজ্ঞেস করা না পযর্ন্ত মনে শান্তি পাই না।এক্ষেএে করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জ্বী, আল্লাহর ক্ষেত্রে তাঁর এর স্থলে উনি ব্যবহার করা যাবে। মনে রাখবেন, তাঁর শব্দটি উনি বা উনার মতই সম্মাণিত। সুতরাং পরিবের্তনের আপাতত প্রয়োজন মনে করছি না। 

(২) আদি অর্থ পুরাতন, উৎপত্তির কারণ, উৎপত্তির জায়গা, প্রভৃতি মাংসাদি. প্রথম, মূল। সুতরাং ”আদি স্রষ্টা” যিনি সমস্ত অস্থিত্বের মূল, যিনি প্রথম ও মূল স্রষ্টা, যাকে সমস্ত শক্তির মূল উৎস বিবেচনা করা হয়। যিনি ক্বাদীম তথা পূর্ব থেকে আছেন এবং সর্বদা থাকবেন। 

(৩)ইখলাছের অনেক অর্থ হতে পারে। যেমন দেখেন কুরআনে কারীমে আল্লাহ বলছেন, 
إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَاعْتَصَمُوا بِاللَّهِ وَأَخْلَصُوا دِينَهُمْ لِلَّهِ فَأُولَـٰئِكَ مَعَ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَسَوْفَ يُؤْتِ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ أَجْرًا عَظِيمًا
অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন। (সূরা নিসা-১৪৬)

আল-মা’আনী অনলাইন অভিধানে উক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় বলা হয় যে, 
{إلاَّ الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَاعْتَصَمُوا بِاللهِ وَأَخْلَصُوا دِينَهُمْ لِلَّهِ}: مَحَّصوه له خالصًا من شوائب الشرك والرياء:-
যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং যারা শিরক ও রিয়া থেকে তাদের দ্বীন ধর্মকে পবিত্র রেখেছে, বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন।

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম। (সূরা বায়্যিনাহ-৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত দুনু আয়াতে ইখলাছের অর্থকে একত্ববাদ বলা হয়েছে। যেহেুত একত্ববাদই একমাত্র সত্যিকারের বিশ্বাস তাই ইখলাছের অর্থকে নিরেট খাঁটি বিশ্বাসও বলা যাবে। 

(৪)”আউযুবিল্লাহি মিনাশ-শাইত্বানির রাজিম” এটাই সঠিক উচ্ছারণ। 'আউযুবিল্লাহ' 'বিসমিল্লাহ' পড়ার বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18811

(৫) ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম“ এটাই সঠিক উচ্ছারণ। 'আউযুবিল্লাহ' 'বিসমিল্লাহ' পড়ার বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18811

(৬) কুরআন উস্তাদ ব্যতীত বুঝা মুশকিল, তাই আপনি কুরআন বুঝতে হলে কোনো বিজ্ঞ উস্তাদের শরণাপন্ন হতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...