ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/49280/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় পবিত্র কোরআনের সঠিক উচ্চারণ অসম্ভব। তাই
কোরআনকে অন্য ভাষায় লেখা বা পড়া ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্যে নাজায়েজ। এতে কোরআনের শব্দ
ও অর্থ বিকৃত করা হয়, যা সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত বাংলা
উচ্চারণের কোরআন পড়ার কোনো সুযোগ নেই। (আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন, পৃষ্ঠা : ৮৩০)
আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা সহিহ-শুদ্ধভাবে কোরআন
তিলাওয়াত করে, তারা নেককার সম্মানিত ফেরেশতাদের সমতুল্য মর্যাদা
পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহিহ-শুদ্ধভাবে পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়,
তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব।’ (আবু দাউদ, হাদিস
: ১৪৫৪)
★কুরআন মাজিদ আল্লাহ তা’আলার কালাম। আল্লাহ তাআলা তা আরবিতে অবতীর্ণ
করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে,
‘নিশ্চয় আমি আরবি কোরআন অবতীর্ণ করেছি।’ [সূরা ইউসুফ: ২]
তাই আমাদের জন্য জরুরি হলো আরবিতেই কোরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা।
বাংলায় উচ্চারণ করা ঠিক নয়।
তাছাড়া আরবিতে এমন কিছু অক্ষর রয়েছে যেগুলোর প্রতিবর্ণ বাংলা
ভাষায় নেই। ফলে সে অক্ষরগুলো উচ্চারণ করার সময় ভুল উচ্চারণ করার কারণে আয়াতের অর্থ
বিকৃত হয়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিদেশী
ভাষার উচ্চারণ লেখার ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই হিসাবে এভাবে প্রচলন
হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের জন্য উচিত হলো এমন ভাবে আরবীর উচ্চারণ লেখা যা আরবী উচ্চারণের
ক্ষেত্রে অধিক নিকটবর্তী।
তবে
যিনি পড়বেন তিনি সহীহ শুদ্ধ ভাবে পড়বেন।