আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (14 points)

আসসালামু আলাইকুম, 

আল্লাহ সব কিছুই জানেন। তার জ্ঞানের বাহিরে কিছুই নেই। তিনি সব জানেন এবং সেই সত্য তিনি একটি কিতাবে লিখিত রেখেছেন। আপনি ভালো কাজ করবেন, মানষের উপকার করবেন, ঘুমানবেন, পানি পান করবেন, খারাপ কাজ করবে, ছিনতাই করবে, মানুষকে গালি দিবেন সব কিছুই আল্লাহ আগের থেকে জানেন এবং তা লিখে রেখেছে। আল্লাহ লিখে রেখেছেন এই জন্যে আপনি এমন করেছেন তা কিন্তু নয়। আল্লাহ জানতেন যে আপনি এমন কিছু করবেন  এবং সেই তথ্যটাই লিখে রেখেছেন।

 

আল্লাহ আমাদের সুবিধার জন্যে কিছু বিষয় একদম ফিক্সড করে দিয়েছে যা পরিবর্তন সম্ভব নয়। যেমন ধরেন মৃত্যু। চিন্তা করে দেখেন। আপনার কপালে মৃত্যু লিখা নেই, অথচ আপনি ১ হাজার ফুট উচু পাহাড় থেকে নিচে পরে গিয়েছে ও অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। শতবার মৃত্যুর সমান যন্ত্রণা হচ্ছে আপনার কিন্তু আপনি মরছেন না। অথবা আগুনে পুড়ছেন কিন্তু মৃত্যু আসছে না আবার আগুনও নিভছে না। কি অবস্থা হবে ভেবেছেন? তাই অনেক সময় মৃত্যুটাও একটা রহমত। আল্লাহ এই মৃত্যু ফিক্সড করে রেখেছেন। আল্লাহ্‌ সব থেকে ভালো জানেন। তিনি আমাদের জন্যে উপযুক্ত সময়ের মৃত্যু নির্ধারন করে রেখেছেন। আপনি হয়তো সুইসাইড করতে যাচ্ছেন।  এমন অনেকে দেখবেন সুইসাইড করতে গিয়েও পারে না। আসলতে তাকদিরে তার মৃত্যু ছিলো না। অনেকে ফাঁসি দিয়ে বা বিষ খেয়ে মারা গেলছেন অথচ আপনি যদি সুইসাইড না করতেন, হতে পারে আপনার ঠিক সেই সময়েই মৃত্যু হতো। হয়তো অন্যকোন ভাবে, হয়তো হার্ট এটাক হয়ে। সুইসাইড করাকে হারাম করা হয়েছে। মানুষ যখন আল্লাহ ওপরে বিশ্বাস রাখেনা তখনি সে সুইসাইড করে। কিছু মানষিক সমস্যার লোক থাকতে পারে। তাদের বিষয় আলাদা। তাই সুইসাইড করবেন না। আপনার মৃত্যু থাকলে সেটা হবেই, আপনি যদি পৃথিবীর সব থেকে সিকিউর স্থানে থাকেন, তাও মৃত্যু হবে (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৭৮)। কিন্তু আপনি যদি ইচ্ছা করে সুইসাইড করতে যান অথবা যদি ইচ্ছা করে ঝুকি পুর্ন স্থানে গিয়ে কোন কারন ছাড়া নিজেকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেন ও মারা যান, তাহলে এর দায়ভার আপনার হবে। তাই তাকদিরে আমরা বিশ্বাস রাখবো। দুয়ার মাধ্যমে, দান-সদকার মাধ্যমে, আল্লাহর ওপরে ভরসার মাধ্যমে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার মাধ্যমে, আল্লাহ্‌র কাছে চাওয়ার মাধ্যমে তাকদিরের অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন রিজিক আল্লাহ বৃদ্ধি করে দেন উত্তম কাজের মাধ্যমে ও দুয়ার মাধ্যমে। (সূরা আত-তালাক, আয়াত ৩)

 

প্রিয় শায়েখ, তথ্যগুলো ভুল ঠিক করে সঠিক সত্য জানিয়ে দিলে উপকার হয়। 

1 Answer

0 votes
by (568,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/58

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত লিখাটি ঠিক আছে। তাকদীর দুই প্রকার, তাকদীরে মুতলাক,ও তাকদীরে মু'আল্লক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...