আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

মাঝে খুব বেশি প্রচলিত হয়েছিল এই কথাগুলো। যেটা হচ্ছে ৩০ রমাদানের ৩০ রকম সওয়াব,৩০ টি রোজা রাখলে ও ৩ তারাবি পড়লে এই রকম সওয়াব পাওয়া যাবে।যেমন প্রথম রোজায় নিস্পাপ শিশু হয়ে যাবে।১৭ রোজায় সকল নবীগনের সওয়াব পাবে,২৪ রোজায় যে কোনো ২৪ টি দোয়া কবুল হয়,৩০ রমজান পুরো রমজানের সওয়াব দ্বিগুণ করে দেওয়া হয় ,। ছবি এটাচ করতে পারছি নাহ।
আমার নিজের বিবেক এর কাছেই প্রথমত এটা সন্দেহজনক মনে হয়।তার পরেও আমি রোজা ও তারাবির ফজীলত নিয়ে বিভিন্ন লেখা পড়েছি এবং ভিডিও দেখেছি,কিন্তু এমন কোনো কিছু পাইনি।
গতকাল আমার প্রতিবেশী আমাকে এই কথাগুলো বলেন এবং তিনি বলেন যে,তাকে যে বলেছে সে অনেক জ্ঞানী মহিলা,তালিম করায়। এবং সে একটা বই দেখে এই ফযিলত গুলো বলে।
যদি কথা গুলো যাল হাদিস হয় তবে আমি সেই জ্ঞানী মহিলা কে কি বলব কিছু? আর কিভাবে বললে তাকে বুঝায় বলতে পারব?
আগামীকাল সে আসবে ইন শা আল্লহ, আমি তার সাথে কিভাবে এ বিষয় নিয়ে কথা বলব। উত্তর দিলে অনেক উপকার হবে। জাযাকাল্লাহ খইরন ।

1 Answer

0 votes
by (695,280 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
"৩০ রমাদানের ৩০ রকম সওয়াব,৩০ টি রোজা রাখলে ও ৩ তারাবি পড়লে এই রকম সওয়াব পাওয়া যাবে।যেমন প্রথম রোজায় নিস্পাপ শিশু হয়ে যাবে।১৭ রোজায় সকল নবীগনের সওয়াব পাবে,২৪ রোজায় যে কোনো ২৪ টি দোয়া কবুল হয়,৩০ রমজান পুরো রমজানের সওয়াব দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়"


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত বিবরণ কুরআন হাদীসের কোথাও আসেনি। 
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (695,280 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...