আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ
১. বৃষ্টির সময় + আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দুআ কবুল হয়। কেউ যদি এই সময়গুলোতে নরমালি কোনো খারাপ কথা বলে যেটা উত্তম না তাহলে সেটাও কি কবুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে?

অন্য কারো নরমাল কথাও কি কবুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে? যদি কেউ বলে যে তোমার তো মরমর অবস্থা, এমন কিছু?

২. কারো যদি ব্যাংং অ্যাকাউন্টে টাকা জমা আছে কিন্তু কেউ যদি জিজ্ঞেস করে কোনো কারণ ছাড়াই যে তোমার কাছে কত টাকা আছে তাহলে যদি সে বলে যে আমার 'কাছে' টাকা নেই তাহলে কি সেটা মিথ্যা হবে? যেহেতু আসলেই টাকাটা তার 'কাছে' নেই ব্যাংকে আছে।

৩. শিশুকালে প্রাপ্ত স্বর্ণের হক্বদার কি সম্পূর্ণরুপে আমি? যদি হই তাহলে কতটুকু স্বর্ণের মালিক হলে আমার উপর যাকাত+ কুরবানি ওয়াজিব?

৪. অসুস্থতার কথা অন্যকে বললে কি গুনাহ বা অনুত্তম হবে এই আশায় যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা হুকুম করলে যেন শ্রোতা ব্যক্তিবর্গ অসুস্থ ব্যক্তির উপর সদয় হয়?

৫. আমি নিয়্যাত করেছিলাম প্রতিমাসে নির্দিষ্ট টাকা সাদাকাহ করবো, ইনকামের উপর ভিত্তি করে। নিয়্যাতকৃত সাদাকাহর টাকা কি পরিবারের পিছনে ব্যয় করা হলে তা আদায় হয়ে যাবে?

নিয়্যাত ছিলো এমন যে আল্লাহ তুমি আমাকে এই কাজটা পাইয়ে দাও ইনশাআল্লাহ আমি এর ২৫% টাকা সাদাকাহ করবো প্রতি মাসে।

1 Answer

0 votes
by (704,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
না,সেটা কবুল হবেনা।

(০২)
বিশেষ প্রয়োজনে হলে তাওরিয়ার ভিত্তিতে এমনটি বলার সুযোগ আছে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

সুতরাং কাহারো কাছে যদি স্বর্ণের পাশাপাশি টাকা থাকে,তাহলে তার জন্য করনীয় হলো এই টাকা আর উক্ত স্বর্ণের মূল্য হিসেব করে সারে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়েছে কিনা?
হলে তার উপর যাকাত,কুরবানী আবশ্যক হবে।

যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ হতে যিলহজ্ব মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত, এ সময়ের মাঝে কোনো সময়ে আপনি যদি সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি সমপরিমাণ রুপার মালিক হোন,আর তাহা যদি দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে, নতুবা কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি স্বর্ণের মালিক হতে হবে।
বালেগ হতে হবে।

যদি এই পরিমান স্বর্ণের মালিক না হোন,সেক্ষেত্রে যদি স্বর্ণের পাশাপাশি টাকা/রুপা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে করনীয় হলো এই টাকা/রুপা আর উক্ত স্বর্ণের মূল্য হিসেব করে সারে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়েছে কিনা?
হলে আপনার উপর যাকাত,কুরবানী আবশ্যক হবে।
অন্যথায় হবেনা।

(০৪)
এটা মিথ্যা বলার শামিল হবে।

(০৫)
পরিবারের যারা গরিব সদস্য আছে,তারা যদি আপনার বাবা মা,দাদা দাদি নানা নানি ও সন্তান নাব হয়,এবং তারা যদি যাকাত খাওয়ার হকদার হয়,সেক্ষেত্রে তাদের পিছনে ব্যয় করা হলে তা আদায় হয়ে যাবে।

অন্যথায় আদায় হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
উস্তায ৩ নাম্বার প্রশ্নের প্রথম অংশের ব্যাপারে জানতে চাই। শিশুকালে হাদিয়া স্বরুপ আমাকে যে স্বর্ণ দেয়া হয়েছে তার পূর্ণ হক্বদার কি আমি?

আর শেষের প্রশ্নের উক্ত নিয়্যাতে এই সাদাকাহ কি আমার জন্য ওয়াজিব হয়েছে না নফল সাদাকাহ হিসেবে আদায় করব?
by (704,440 points)

★হ্যাঁ, তার পূর্ণ হক্বদার আপনি।


(০৫)
যদি প্রশ্নে উল্লেখিত কথা মনে মনে বলে থাকেন,তাহলে এটা নফল সদকাহ।
আর যদি মুখে উচ্চারণ করে বলেন,তাহলে এটা যেহেতু মান্নতে পরিনত হয়েছে,তাই এটি ওয়াজিব সদকাহ।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...