আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
edited by
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।
১)পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ !? গুরুজনদের প্রতি সন্মান দেখাতে পা ছুঁয়ে সালাম করলে কি শিরক হবে !?
২)একজন ব্যাক্তি দিনের প্রায় ১৬/১৭ ঘন্টার মতো ল্যাপটপে কাজ করেন,৩/৪ ঘন্টা ঘুমান,তিনি একজন softwere engineer,এবং ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন,,এছাড়া তিনি অন্য কোনো কিছু করেন না ,কোনো নফল ইবাদাত করেন না ,তিনি উপার্জিত টাকা দিয়ে মা ,বাবা ,আত্মীয় স্বজনদের সাহায্য করেন,,হজ ,যাকাত পালন করেন আমি জানতে চাই,,তার হিসাব কিরকম হবে হুজুর,দুনিয়াবী সফলতার জন্য কেউ যদি এতটা সময় দেন,,তবেকি আল্লাহ তার উপর নারাজ হবেন?
৩)হুজুর  আমাদের বাসায় আগে প্রতিদিন নিয়মিত দিনের বেশিরভাগ সময় টিভি চলতো ,,আমি মাকে ,আর ছোট ভাইকে অনেক বুঝিয়েছি যে টিভি দেখা যাবেনা,,এখন টিভিটা পরে আছে ঠিকই,, কিন্তু ছোটভাই মোবাইলে গেইম খেলে ,কার্টুন দেখে,,আর আমার মা প্রতিদিন রাতে মোবাইলে CID দেখেন,,হুজুর আমার কানে যখন কথাগুলো আসে তখন আমারও  দেখতে ইচ্ছে করে ,কৌতূহল জাগে মনের মধ্যে,,মা ভাইকে বললেও তারা গুরুত্ব দেয়না,,,এখন তাদেরকে এবং নিজেকে  জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য কি করবো হুজুর !?
৪) হুজুর এখনতো বেশিরভাগ মানুষই লেবাসধারী দ্বীনদার,দ্বীনের নামে দুর্বলতার সুযোগ নেয়,আমি এমন কিছু মানুষকে দেখেছি যারা অনেক বেশি দ্বীনি কথা বলেন ,এবং নিজেদেরকে খুব দ্বীনদার বলে প্রদর্শন করেন ,,এরকম মানুষদের আমি ঘৃণা করি ,,আবার এমন মানুষ দেখেছি যারা অনেক বেশি দ্বীনদার কিন্তু কখনোই তা প্রকাশ করেন না,,হুজুর আমি যদি মনে মনে ভাবি যে জীবনে একজন প্রকৃত দ্বীনদার,আল্লাহভীরু,যে কঠোরভাবে মাহরাম মেনে চলেন,যার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ,প্রত্যেকটা নিঃশাস  ফেলার আগে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়,যে আল্লাহর সব বিধান মেনে চলার চেষ্টা করেন, যার সাথে থাকলে আমি দুনিয়া আখিরাতে সফল হতে পারবো,যার সাথে থাকলে আমার জান্নাতে যাওয়া সহজ হবে এরকম কাওকে না পেলে সারাজীবন একই থাকবো,কোনোদিন বিয়েই করবোনা,,সারাজীবন একাই  আল্লাহর পথে চলার চেষ্টা করবো,,তারপর মৃত্যুর পর বেহেস্তে আল্লাহর কাছে মনের মতো জীবনসঙ্গী চেয়ে নিবো অথবা তখনতো আর দরকারও হবেনা ,,তবেকি আমার গুনাহ হবে !?

৫) হুজুর বালেগা হবার পর থেকে আমার কত ওয়াক্ত সালাত কাজ হয়েছিল আমার ঠিক মনে নেই,পূর্বের প্রশ্নে আমি জানতে পেরেছিলাম যে অনুমান করে ধরে নিবো ১০০ ওয়াক্ত,,কিন্তু আমার যদি এর থেকেও বেশি কাযা সালাত থাকে, তাহলে তো আমাকে ওগুলোর হিসাব দিতে হবে মৃত্যুর পরে হুজুর,,আমি তাহলে কিভাবে বাঁচবো শাস্তি থেকে হুজুর,? আমি তো জানিনা ঠিক কত ওয়াক্তের সালাত কাযা  হয়েছে,,অনুমানে যদি ভুল হয়!? তাহলে কোনো রিস্ক না নেওয়ার জন্য আমি কি করতে পারি হুজুর !?

৬)বিচ্ছেদের পর কি সন্তানের প্রয়োজনে তার বাবা,তার মায়ের সাথে কথা বলতে পারবে !? সরাসরি তালাক উচ্চারণ করা হয়নি ,তবে স্ত্রীকে অনেকবার চলে যেতে বলা হয়েছে রাগের মাথায় ঝগড়ার সময়ে  ,,এবং স্ত্রীর পূর্বের ঘরের মেয়ে সন্তানের প্রতি খারাপ দৃষ্টিতে গায়ে স্পর্শ করা হয়েছিল,হুরমতের জন্য তো সম্ভবত তালাক হয়ে গিয়েছে,,মেয়ের মনে কোনো খারাপ চিন্তা আসেনি,সে প্রথমে বুঝতেও পারেনি যে তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে কাঁধে বা হাতে অথবা অন্য কোথাও  স্পর্শ করা হচ্ছে ,পরে লোকটির কথাবলার ধরণে বুঝতে পারে যে লোকটি খারাপ উদ্দেশ্যে স্পর্শ করছে,,মেয়েটি বুঝতে পাড়ার সাথে সাথেই পালিয়ে অন্য রুমে চলে যায় , লোকটি সম্ভবত নেশা গ্রস্ত অবস্থায় ছিল,এমতাবস্তায় লোকটি জানেওনা যে তালাক হয়েছে ,তার দ্বীনের বুঝ নেই..লোকটির টাকা হারাম .এখন মেয়েটি যদি মাকে এবং দ্বিতীয় ঘরের ছোট ভাইটিকে নিজের সাথে অন্য কোথাও রাখে তবেকি ছেলের ভরণপোষণের জন্য টাকা নেওয়া যাবে !? স্ত্রী নিতে পারবেন !? মেয়েটির তো তেমন সামর্থ নেই  তবে ভবিষ্যতে হতে পারে,মেয়েটির পড়াশুনা শেষ হয়নি ,এমন অবস্থায় নিজের এবং মা ভাইয়ের দায়িত্ব নেওয়া কষ্ট সাধ্য ,, কি করা উচিত হুজুর ,,আর কোনো পুরুষ নেই পরিবারে ,,

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://ifatwa.info/17858/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইলম এবং বুযুর্গীর কারনে হাত পায়ে চুমো দেওয়া জায়েজ আছে,তবে সেজদার ছুরত হয়ে গেলে তাহা নাজায়েজ। 
তবে সতর্কতা মূলক তাদেরও কদমবুচি না করা উচিত। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنُ الطَّبَّاعِ، حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْنَقُ، حَدَّثَتْنِي أُمُّ أَبَانَ بِنْتُ الْوَازِعِ بْنِ زَارِعٍ، عَنْ جِدِّهَا، زَارِعٍ وَكَانَ فِي وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالَ: لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ فَجَعَلْنَا نَتَبَادَرُ مِنْ رَوَاحِلِنَا، فَنُقَبِّلُ يَدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلَهُ 

উম্মু আবান বিনতু ওয়াযি ইবনু যারি (রহঃ) থেকে তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) আব্দুল কাইসের প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা মদীনায় এসে আমাদের আরোহী থেকে দ্রুত নেমে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে ও পায়ে চুমু দিলাম।
(আবু দাউদ ৫২২৫)


حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي لَيْلَى، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، حَدَّثَهُ وَذَكَرَ، قِصَّةً قَالَ: فَدَنَوْنَا يَعْنِي مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَبَّلْنَا يَدَهُ 

আব্দুর রাহমান ইবনু আবূ লাইলাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটবর্তী হয়ে তাঁর হাতে চুমু দিলাম।
(আবু দাউদ ৫২২৩,ইবনু মাজাহ)

আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে এসেছেঃ
  
975 – حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا مَطَرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْنَقُ قَالَ: حَدَّثَتْنِي امْرَأَةٌ مِنْ صَبَاحِ عَبْدِ الْقَيْسِ يُقَالُ لَهَا: أُمُّ أَبَانَ ابْنَةُ الْوَازِعِ، عَنْ جَدِّهَا، أَنَّ جَدَّهَا الْزَّارِعَ بْنَ عَامِرٍ قَالَ: قَدِمْنَا فَقِيلَ: ذَاكَ رَسُولُ اللَّهِ، فَأَخَذْنَا بِيَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ نُقَبِّلُهَا

[قال الشيخ الألباني] :  ضعيف الإسناد

ইমাম বুখারী রহঃ এর কাছে মুসা বিন ইসমাঈল বলেন, তার কাছে মাতার বিন আব্দুর রহমান আলআনাক বলেছেন, তার কাছে উম্মে আবান বলেছেন, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, তার দাদা ওয়াযি বিন আমির বলেন, আমি একদা রাসূল সাঃ এর খেদমতে গিয়া হাজির হলাম। আমাকে বলা হল ইনিই হচ্ছেন আল্লাহর রাসূল। আমরা তখন তাঁর হস্তদয় ও পদদ্বয় ধরিয়া চুমু খেলাম। {আলআদাবুল মুফরাদ, ইসলামী ফাউন্ডেশন অনুবাদের হাদীস নং-৯৮৭, আরবী কিতাবের হাদীস নং-৯৭৫}

সুতরাং যদি মাথা নিচু না করে কদমবুচি তথা পায়ে চুম্বন (হাত দিয়ে পা স্পর্শ করে হাত চুম্বন) করা হয়,তাহলে তাহা নাজায়েজ নয়।
,
কদমবুচি সংক্রান্ত মাসআলাটি নিয়ে বিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কেরাম এবং মুহাদ্দিসীনে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

একদল বলেছেন সম্মানার্থে জায়েজ আছে পদচুম্বন করা। কিন্তু তারা সাথে সাথে এ শর্তারোপ করেছেন যে, যেন চুমু খেতে গিয়ে রুকুর সূরত বা সেজদার সূরত না হয়ে যায়। যদি রুকু বা সেজদার সূরত হয়ে যায়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। {আলমুজতাবা-৪/২০৫, আলমুহীতুল বুরহানী-৮/১১৮, ফাতাওয়া আলমগীরী-৫/৩৬৯}

আরেক দল ফক্বীহ ও মুহাক্কিকীনদের মতে তা জায়েজ নয়। কারণ বর্তমান প্রচলিত কদমবুচিতে রুকুর হালাত এবং সেজদার হালাত হওয়া স্পষ্ট। সেই সাথে এটি বিধর্মীদের প্রতীক। তাই তা হারাম।

আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় মতটিকেই প্রাধান্য দিয়েছি। কারণ কদমবুচি করা এ উপমহাদেশে মৌলিকভাবে হিন্দুদের রুসুম। আর কদমবুচি করতে গিয়ে রুকু বা সেজদার হালাত তৈরী হয়েই যায়। আর যারাও কদমবুচিকে জায়েজ বলেছেন তাদের মতেও রুকু সেজদার হালাত হয়ে গেলে কদমবুচি করা জায়েজ নয়।

উপরোক্ত কারনে বর্তমান প্রচলিত কদমবুচিকে নাজায়েজ বলা হয়।

(০২)
সে যেহেতু শরীয়তের সমস্ত বিধান মেনেই চলছে,নামাজ রোযা সহ সব ইবাদত করছে,  সুতরাং এক্ষেত্রে আশা করি আখেরাতে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আগে টিভি বাড়ি থেকে বাহির করতে হবে।
তাবলিগে সময় দিতে পারেন।
হক্কানী শায়েখদের বয়ান শুনবেন।
পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যাবেন।
তাহলে ইনশাআল্লাহ সমাধান আসবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে যদি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (বিবাহ না করার দরুন) কোনো গুনাহে জড়িয়ে না পড়েন,তাহলে আপনার গুনাহ হবেনা।

তদুপরি বিবাহ না করলে গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা না থাকলে আপনার জন্য বিবাহ করা সুন্নাত।

(০৫)
https://ifatwa.info/43094/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
নামাজ ত্যাগ অনেক মারাত্মক গুনাহ। 
হাদীস শরীফে এসেছে-
 
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .
 
আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
আমাকে এই উপদেশ তুমি স্বেচ্ছায় ফরয নামায ত্যাগ করো না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে তারথেকে (আল্লাহর ) যিম্মদারি উঠে যায়। তুমি মদ্যপান করো না। কেননা তা সর্বপ্রকার অনিষ্টের চাবিকাঠি। (সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৩৪)

আরো জানুনঃ 

ইবনে আবেদীন শামী রাহঃ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,

ﻭﻓﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﻧَﻮَﻯ ﺃَﻭَّﻝَ ﻇُﻬْﺮٍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻭْ ﺁﺧِﺮَﻩُ،

ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺎﺑﺪﻳﻦ ﺍﻟﺸﺎﻣﻰ – ( ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﻛَﺜُﺮَﺕْ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖُ ﺇﻟَﺦْ ) ﻣِﺜَﺎﻟُﻪُ : ﻟَﻮْ ﻓَﺎﺗَﻪُ ﺻَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻭَﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺒْﺖِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﻀَﺎﻫَﺎ ﻟَﺎ ﺑُﺪَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺘَّﻌْﻴِﻴﻦِ ﻟِﺄَﻥَّ ﻓَﺠْﺮَ ﺍﻟْﺨَﻤِﻴﺲِ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﻏَﻴْﺮُ ﻓَﺠْﺮِ ﺍﻟْﺠُﻤُﻌَﺔِ، ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺗَﺴْﻬِﻴﻞَ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮِ، ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺃَﻭَّﻝَ ﻓَﺠْﺮٍ ﻣَﺜَﻠًﺎ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺇﺫَﺍ ﺻَﻠَّﺎﻩُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﻣَﺎ ﻳَﻠِﻴﻪِ ﺃَﻭَّﻟًﺎ ﺃَﻭْ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺁﺧِﺮَ ﻓَﺠْﺮٍ، ﻓَﺈِﻥَّ ﻣَﺎ ﻗَﺒْﻠَﻪُ ﻳَﺼِﻴﺮُ ﺁﺧِﺮًﺍ، ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻀُﺮُّﻩُ ﻋَﻜْﺲُ ﺍﻟﺘَّﺮْﺗِﻴﺐِ ﻟِﺴُﻘُﻮﻃِﻪِ ﺑِﻜَﺜْﺮَﺓِ ﺍﻟْﻔَﻮَﺍﺋِﺖِ . ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻗﻀﺎﺀ ﺍﻟﻔﻮﺍﺋﺖ - 2/538

ভাবানুবাদঃ-উমরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে  আদায় করে নিবে।

যেমন, ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)

এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/629

যত দিনের ইচ্ছে কাযা আদায় করা যাবে। কোন সমস্যা নেই।

উমরী কা’যার নামায সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেদিন থেকে বালেগ/বালেগাহ হয়েছেন,সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রবল ধারণার ভিত্তিতে কাজা নামাজের হিসাব করবেন।
সেক্ষেত্রে চেষ্টার পরে অনুমানে কিছু ভুল হলে আশা করি আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

আপনি এভাবে কাজা নামাজের নিয়ত করবেনঃ-
"আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি”

(০৬)
বিচ্ছেদের পর সন্তানের প্রয়োজনে তার বাবা,তার মায়ের সাথে পূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলতে পারবে। 
শর্ত হলো প্রয়োজন অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা।  ফিতনার আশংকা থাকা যাবেনা।

এক্ষেত্রে উক্ত সন্তানের ভরনপোষণ এর যাবতীয় খরচ বাবা দিবে। এটি গ্রহন করাতে উক্ত সন্তানের কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...