ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কেউ যদি দিনে ৫০০ বার দরুদ পড়ে। এবং এর অর্ধেক অর্থাৎ ২৫০ দরুদের সওয়াব অপর জীবিত ব্যক্তিকে দান করতে চায়, তাহলে সেটা জায়েয হবে।
ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-
ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ
তরজমাঃ নবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস
""কেউ কারো পক্ষ্য থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না"" এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ্য থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যর ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না।তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে।এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে।(বাদায়ে সানায়ে)নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩।) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 8840
(২) পেজের নাম ও কার্যক্রম পরিবর্তনসহ বিক্রয় ধোঁকার শামিল। কেননা প্রথমে যারা ফলো করে রেখেছে, তাদের সাথে প্রতারণা হবে। তবে গোনাহের কাজ থেকে নেকির কাজের দিকে কনভার্ট করা নাজায়েয হবে না।
(৩) (ক)যেহেতু এটা বান্দার হক, তাই এক্ষেত্রে তাদের সমূদয় টাকা ফেরত দিতে হবে।
(খ) তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
(গ) এই প্রতারণা কাবীরা গুনাহও হতে পারে আবার সগিরাও হতে পারে। এটা নিয়তের উপর নির্ভরশীল।
(৪) কাস্টমাইজড জিনিসের ব্যাপারে অগ্রিম বিক্রয় চুক্তি করা যাবে। কেননা রুপকভাবে ঐ মাল বিক্রেতার নিকট রয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।