আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
417 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

কোন নারীর কাছে যদি কোন পুরুষ গায়রে মাহরাম ছাড়া পোঁছানো সম্ভব না হয়, তবে, সেই নারীর কোনভাবে হক নষ্ট করে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উপায় কি?

মেয়েগুলো কোন এক পরিচিত ভাইয়ের বান্ধবী এবং সে ব্যতীত তাদের নিকট পৌঁছানো অসম্ভব হলে করণীয় কি?

1 Answer

+1 vote
by (696,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।আল্লাহ তা'আলা কোনো নিয়মনীতি বা সাংবিধানিক ধারার পাবন্দী নয়।বরং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যে কোনো সময় যেকোনো ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কিন্তু আল্লাহ তা'আলা সাধারণত কিছু নিয়ম করে দিয়েছেন।এর অর্থ এ নয় যে এ নিয়মই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত।বরং এ সাধারণ নিয়ের খেলাফ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা ও অধিকার আল্লাহ তা'আলার রয়েছে।মোটকথাঃ আল্লাহ চাইলে যে কাউকে যেকোনো গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

গীবত করলে বান্দার হক্ব নষ্ট হয়।আর কেউ বান্দার হক্ব নষ্ট করলে আল্লাহ তা'আলা ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না  উক্ত বান্দা ক্ষমা করে দিচ্ছে।
কিন্তু যদি হক্ব নষ্ট কারী  ঐ বান্দা পরবর্তীতে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে ফেলে।এবং আল্লাহর দয়া হয়ে যায়।তাহলে আল্লাহ তা'আলা সে বান্দা কে খুশী করে দিবেন যার হক্ব দুনিয়াতে নষ্ট হয়েছিলো।
এবং আল্লাহ তা'আলা উক্ত বান্দাকে সেই হক্ব নষ্টের গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।তখন আর সেই বান্দা আল্লাহ কাছে বিচার দায়ের করবে না।


এখন কথা হলো খালিছ নিয়তে বিশুদ্ধ তাওবাহ করার পদ্ধতি বা সূরত কি?

তাওবাহ কবুল হওয়ার শর্ত হলো,আল্লাহর হক্ব সম্ভলিত বিষয় হলে আল্লাহর নিকট অনুনয় বিনয় করে আহাজারি করা, মিনতি করা।
আর বান্দার হক্ব হলে, সেই হক্ব কে আদায় করে দেয়া বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়া।সেজন্য এর পিছনে সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করা।যদি নিজ সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও উক্ত বান্দার হক্বকে আদায় করা সম্ভব না হয়,বা ক্ষমা না পাওয়া যায়,তাবে আল্লাহর নিকট নিজ সেই চেষ্টার কথা তুলে ধরে সমাধান চাওয়া।এবং ভবিষ্যতে কোনো বান্দার হক্ব নষ্ট না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে অবশ্যই আল্লাহ তাওবাহকে কবুল করে নেবেন এবং উক্ত গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিবেন।

গীবতের মাধ্যমে কারো হক্ব নষ্ট করলে এভাবেও তার নিকটে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পারেন যে,
শরয়ী দিবস যেমন ঈদ, আশুরা,ইত্যাদিতে তার নিকট গিয়ে বলা।

ভাই/বোন! 
আমরা এক সাথে চলাফেরা করেছি।ইসলাম সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান না থাকায় আমাদের চলাফেরায় একজন অন্যজনের কত হক্বই না নষ্ট করেছি।আপনি না করলেও আমি অবশ্যই করেছি।দয়া করে আজকের এই পবিত্র দিনে আমাকে যাবতীয় হক্ব নষ্ট করার গোনাহ থেকে ক্ষমা করে দিন।

এভাবে ক্ষমা করিয়ে নিবেন।হ্যা ভবিষ্যতে আর এরকম কাজ কখনো করবেন না।তবেই আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 641

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ঐ ব্যক্তির মধ্যস্থতায় ঐ গায়রে মাহরাম মহিলার নিকট থেকে ক্ষমা চাইয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।যদি সম্ভব না হয়,তাহলে আল্লাহর কাছে আহাজারি করে তাওবাহ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম। 
শায়েখ, কেউ যদি অনেক মানুষের গীবত করে থাকে, হিদায়াতের আগে। এরপর কার কার গীবত করেছে তাদের কথা মনেও নেই আর ক্ষমা চাওয়ারও তেমন সুযোগ নেই। তার ক্ষেত্রেও এভাবে তওবা করার বিধান থাকবে?                      
by (696,320 points)
জ্বী,এক্ষত্রে তাওবাহ করতে হবে।
by
জাযাকাল্লাহু খইরন শায়েখ  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...