আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার স্বামী অনেক বার রাগের মাথায় তালাক দিছে। তিন বারের বেশি হয়ে গেছে৷  এর মধ্যে তিন ইদ্দতকাল ও পার হয়ে গেছে। এখন আমি বাপের বাড়ি থাকি৷ এখন তাদের হুস হয়েছে যে তাদের ছেলেকে আসলে কালুজাদু করেছিলো কেউ।  সে এখন অনেক অসুস্থ। এখন তারা সব কিছু ঠিক করে আমাকে ফেরত নিতে চায়।
আমার প্রশ্ন হলো কালো জাদুতে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় তিনবারের বেশি তালাক দিলে কি তালাক পতিত হয়না?  বিয়েতে ফেরত যাওয়া কি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে? আমি স্বিকার করি, তালাক দেওয়া অবস্থায় আমার স্বামীকে নর্মাল মনে হত না আমার। মনে হত কিছু ভর করেছে তার উপর।
আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

فتاوی شامی:

"قال في التلويح: الجنون اختلال القوة المميزة بين الأمور الحسنة والقبيحة المدركة للعواقب، بأن لا تظهر آثاره وتتعطل أفعالها، إما لنقصان جبل عليه دماغه في أصل الخلقة، وإما لخروج مزاج الدماغ عن الاعتدال بسبب خلط أو آفة، وإما لاستيلاء الشيطان عليه وإلقاء الخيالات الفاسدة إليه بحيث يفرح ويفزع من غير ما يصلح سببا. اهـ."

(3/243، کتاب الطلاق، ط: سعید)

 وفیہ أیضاً:

"وسئل نظماً فيمن طلق زوجته ثلاثاً في مجلس القاضي وهو مغتاظ مدهوش، أجاب نظماً أيضاً بأن الدهش من أقسام الجنون فلا يقع، وإذا كان يعتاده بأن عرف منه الدهش مرةً يصدق بلا برهان. اهـ. قلت: وللحافظ ابن القيم الحنبلي رسالة في طلاق الغضبان قال فيها: إنه على ثلاثة أقسام: أحدها أن يحصل له مبادئ الغضب بحيث لايتغير عقله ويعلم ما يقول ويقصده، وهذا لا إشكال فيه. والثاني أن يبلغ النهاية فلا يعلم ما يقول ولا يريده، فهذا لا ريب أنه لا ينفذ شيء من أقواله ... فالذي ينبغي التعويل عليه في المدهوش ونحوه إناطة الحكم بغلبة الخلل في أقواله وأفعاله الخارجة عن عادته، وكذا يقال فيمن اختل عقله لكبر أو لمرض أو لمصيبة فاجأته: فما دام في حال غلبة الخلل في الأقوال والأفعال لا تعتبر أقواله وإن كان يعلمها ويريدها لأن هذه المعرفة والإرادة غير معتبرة لعدم حصولها عن الإدراك صحيح كما لا تعتبر من الصبي العاقل."

(  کتاب الطلاق، مطلب فی طلاق المدہوش ،244/3،ط: سعید)

সারমর্মঃ-
যদি তার ব্যপারে এরকম বেহুশির বিষয় লোকমুখে প্রসিদ্ধ থাকে,তাহলে এই বিষয়টি প্রমান ছাড়াই সত্যায়িত করা হবে।
এটাই পাগলের পর্যায়ের,সুতরাং এমতাবস্থায় তালাক পতিত হবেনা। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী যদি আগে থেকেই জাদুগ্রস্থ হয়ে থাকে, এবং তার জাদুগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি যদি স্ত্রী সহ সকলের জানা থাকে,প্রসিদ্ধ থাকে,এবং জাদুর কারনে তার অবস্থা যদি এমন হয়ে যায় যে একেবারেই হুশ থাকেনা,সেন্স লেস হয়ে হয়ে যায়,ভালো মন্দের মাঝে পার্থক্য করতে না পারে,এবং তার যদি এটা জানা না থাকে যে জবান দ্বারা সে কি বলতেছে,সেটাও জানেনা,এবং জাদু থেকে হুশ ফিরে আসার পর যদি তার যদি স্বরন না আসে যে বেহুশ অবস্থায় সে  কি কি বলেছিলো,কিছুই স্বরন নেই,তাহলে এমতাবস্থায় তার তালাক পতিত হবেনা।

তবে উপরোক্ত শর্তাবলী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম।  ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্য। সে জাদুতে আক্রান্ত ছিলো অনেক আগে থেকেই৷  দিন দিন তার হুস,  বুদ্ধি লোপ পাচ্ছিলো।  আমাকে সে দেখতে পেত না৷  সহ্য করতে পারত না৷  এমন কি আমাদের শারীরিক সম্পর্ক ছিলো না৷ আমাকে দিয়ে আমার বাবার বিয়ে, ভাইয়া কে দিয়ে আমার মায়ের বিয়ে দেবার মত খারাপ কথা বার্তা ও সে বলতো। সুতরাং মানসিক অবস্থা কোন পর্যায় ছিলো হয়ত বুঝতে পারছেন৷  তবে সে যে তালাক দিয়েছে এটা তার মনে আছে৷  এখন তার জাদু থেকে পরিত্রান পাবার জন্য চিকিৎসা চলছে৷  এখন সে ও তার পরিবার নিজেদের ভুল স্বিকার করছে এবং আমাকে ফেরত নিয়ে চাচ্ছে। এমতাবস্থায় করণীয় কি? 
by (575,580 points)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 274 views
...