আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি এবং আমার স্বামী অনেকবার যাদুগ্রস্থ হয়েছি। আমাকে এরকম যাদুও করেছে যে,  আমি শুকিয়ে বিছানায় পড়ে ছিলাম। এক হুজুরের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়া আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছি।
এরকম বার বার ই করে বিভিন্ন রকমের।  কিছুদিন আমার স্বামীর উপর করে,  ব্যবসার উপর করে।
হুজুর আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে,  খুব টেনশন এ আছি। আশা করি কষ্ট করে উত্তর দিবেন।

১. বার বার আমাকে আমার স্বামীকে যাদু করার কারনে ,  অতিষ্ঠ হয়ে আমি এক হুজুরের কাছে যাই।  উনাকে বলি গিয়ে আমাকে আমার স্বামীকে যেন কেউ যাদু না করতে পারে তার কোন উপায় আছে। উনি বলে যাদের সন্দেহ হয় নাম বলেন বন্ধ করে দিচ্ছি। উনাকে আমি কিছু নাম বলি এবং উনি একটা তালা পড়িয়ে দেই দোয়া পড়ে। আমার সামনেই। আমি বুঝেছি উনি দোয়া পড়েছে, বাট স্পষ্ট না। এর মধ্যে কোন শিরক, কুফরি ছিলো কিনা আমি জানিনা। এগুলো অনেক বছর আগের কথা।  এর পরেও আমাকে আমার স্বামীকে অনেক বার যাদু করেছে। কিন্তু এখন আমি মাসনুন দোয়া গুলো পড়ি তাই আমার উপর কাজ করে না।  কিন্তু আমার স্বামীর উপর মারাত্নক ভাবে করে। হুজুর,  ঐ হুজুরের কাছে যে তালা পড়িয়ে ছিলাম, যদি কোন শিরক, কুফরি থেকে থাকে তাহলে কি আমার গোনাহ হবে। আমি তো তখন জানতাম যে তিনি হুজুর কোন কুফরি করে না.. বাট যদি হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলে আল্লাহ কি আমাকে মাফ করবে...??  প্লিজ উত্তর দিবেন।
২। এর কিছুদিন পরই আরেকটা ঘটনা হচ্ছে, আমার স্বামীর এক বন্ধুর বউ আমার পিছনে লাগে,  এবং আমার স্বামীর কাছে কল দিয়ে বিভিন্ন কথা বলতো। এগুলো নিয়ে আমার স্বামীর সাথে অনেক মনমালিন্য হয় এবং একপর্যায়ে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। আমি শুধু বলতাম ওই মহিলার সাথে তোমার কথা বলা জায়েজ না তুমি কথা বলবা না। তারপরও ওই মহিলা আমার স্বামীর কাছে বার বার কল দিতো।  কারন, ওদের অনেক স্বার্থ ছিলো আমার স্বামীর কাছে। বিভিন্নভাবে সহযোগিতা নিতো।। তারা হাসব্যান্ড ওয়াইফ আমার স্বামীকে অনেক কানপড়া দিতো। আর আমি যখন শুনতাম ওই মহিলা কল দিছে তখন আমি সহ্য করতে পারতাম না। তখন আমি ওই হুজুরের কাছে যায় আর বিস্তারিত বলি, যে আমার সাথে আমার স্বামীর সম্পর্ক খুবই খারাপ অবস্থা।  তখন হুজুর বলে অই মহিলা আর মহিলার জামাই এর নাম বলেন,  আমি বন্ধ করে দিচ্ছি।  আপনার স্বামীর সাথে যাতে কোন যোগাযোগ না রাখে। উনি একটা তাবীজ দিয়ে বললো এই টা দুই কবরের মাঝখানে পুতে আসতে।
আমি জানি না উনি কিভাবে কি করলো।  আমিও মানসিক অসুস্থ ছিলাম। আমার স্বামী বিদেশে থাকার কারনে আমি আরো বেশি মানসিক অসুস্থ ছিলাম।
হুজুর যদি কোন কুফরি বা শিরকি করে করে থাকে। তাহলে কি আমার গোনাহ হবে।
আমি যদি খাছ দিলে তওবা করি তাহলে কি আল্লাহ আমায় ক্ষমা করবেন???

প্লিজ প্লিজ একটু উত্তর দিবেন।
আমার শুধু কান্না পায়।

আমি কোন শিরক কুফরি তে যেতে চাইনি।
আল্লাহ তো সবই জানেন আমার মনের কথা।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .

আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাতে কুফরি শিরকি কিছু আছে কিনা,সেই হুজুরকে জিজ্ঞাসা করা আপনার জন্য উচিত ছিলো।

তদুপরি আপনি সতর্কতামূলক তওবা করে নিবেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে মাফ করবেন।

আপনার স্বামীর প্রতি নিম্নোক্ত লিংকে প্রদত্ত আমল গুলি নিয়মিত করার পরামর্শ থাকবেঃ-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জি আমার উচিৎ ছিলো জিজ্ঞাসা করার।  কিন্তু তাদের দেখতে মনে হয় মাওলানা। তাই আমি মনে করেছি এমন কিছু হবেনা। আর উনারা একেক সময় একেক হুজুর বসেন। পেশাদার ভাবে এই কাজটা করেনা। যে যার খুশি ইচ্ছা টাকা দেয়। তাই আমি ভাবছিলাম যে এমন কিছু হবেনা। 
এখন মনে সন্দেহ হচ্ছে আর ভয় হচ্ছে।
by (678,880 points)
আপনি সতর্কতামূলক তওবা করে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...