আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
942 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
নামাজের মাঝে হঠাৎ হাঁচির কারণে, হাঁচির সঙ্গে সঙ্গে বায়ু বের হয় যায়। এমতাবস্থায় কি করা উচিৎ?
যেহেতু সামনের কাতারে থাকলে নামাজ চলাকালীন অবস্থায় নামাজ ছেড়ে বের হওয়া সম্ভব হয় না, সেহেতু নামাজ যথারীতি শেষ করলে কি গুণাহ হবে?
সামনের কাতারে থাকলে যদি এরকম পরিস্থিতে বের হতে হয় মসজিদ থেকে, তাহলে কিভাবে বের হতে হয়?  নাকি তখন নামাজ ছেড়ে বসে থাকতে হয়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে যায়,তাহলে সে সাথে সাথে অজু করার জন্য যাবে,

(জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করলে কাতার ভেঙ্গে দিয়ে সে পিছনের কাতার ফাকা করে মসজিদ থেকে বের হবে,চাইলে নাকের উপর হাত রেখেও বের হতে পারে।) 

এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ যেনো তার থেকে প্রকাশ না পায়, (যেমন কাহারো সাথে কথা বলা,ইত্যাদি)   অজু করে এসে তার ছুটে যাওয়া আগে আদায় করবে,এক্ষেত্রে তাকে কিরাআত পড়তে হবেনা,  তারপর ইমামের সাথে শরীক হয়ে তার সাথেই সালাম ফিরাইবে,আর যদি ইতিমধ্যে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেয়,তাহলে তার নামাজ পুরো করে সে নিজেই সালাম ফিরিয়ে দিয়ে নামাজ শেষ করবে।

★ উল্লেখ্য যে কাতার ফাকা করে অজু করতে যাওয়ার সময় সে যদি চায়,নাকে হাত দিতে পারে। যাতে করে মুছল্লিরা বুঝে নিবে যে তার অজু ভেঙ্গে গিয়েছে,তাতে সকলেই দ্রুত তার  যাওয়ার জন্য  জায়গা ফাকা করে দিবে। 

সুনানে ইবনে মাজা তে আছেঃ

عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من أصابہ قيء أو رعاف
أو قلس أو مذي، فلنصرف فلیتوضأ، ثم لیبن علی صلاتہ وہو في ذٰلک لایتکلم۔ (سنن ابن ماجۃ ۱؍۸۵ رقم: ۱۲۲۱)
যার নামাজের মধ্যে বমি ইত্যাদি আসে,তাহলে সে সেখান থেকে চলে যাবে। অজু করবে,এই অবস্থায় সে কোনো ভাবেই কথা বলবেনা। তারপর তার বাকি নামাজ আদায় করে নিবে।
,
আরো জানুনঃ 

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)

নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
,
এই অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মারাত্মক গুনাহ।
এতে তাকে খালিস দিলে তওবা করতে হবে। 
উক্ত নামাজ আদায় হবেনা।
তাকে আবার পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
  
যদি ইহানত,তিরস্কার,  ঠাট্রার ছলে এমনটি কেহ করে,তাহলে তার ঈমান থাকিবেনা।
তাকে আবার নতুন করে কালেমায়ে শাহাদত পড়ে ঈমান আনতে হবে।      
.
فتاویٰ شامی  :
"«وبه ظهر أن تعمد الصلوة بلا طهر غير مكفر كصلاته لغير القبلة أو مع ثوب نجس، وهو ظاهر المذهب، كما في الخانية وسير الوهبانية».
«وفي كفر من صلى بغير طهارة مع العمد خلف في الروايات يسطر».
(قوله: خلف) أي اختلاف بين أهل المذهب والمعتمد عدم التكفير، كما هو ظاهر المذهب". (ج:1، ص: 114، ط: سعيد) 

সারমর্মঃ যদি অযু ছাড়াই নামাজ আদায় করে,তাহলে নাপাক কাপড়ে নামাজ,বা কিবলার দিক ব্যতিত অন্য দিক হয়ে নামাজ পড়ার মতো হবে।
এতে কাফের হবেনা।
,
আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...