আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন মেয়ে,বয়স ২৮।গত ৪/৫ বছর থেকে বাসা থেকে বিয়ের জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছে।কোনভাবেই বিয়ে হচ্ছে না।একবার বিয়ের কথা অনেক দূর আগানোর পরে ভেংগে গেছে।আমি স্বপ্নে খাই,নির্জন যায়গা দেখি,পানি,আগুন,সাপ,মরা মানুষ,স্বপ্নে উড়া এসব দেখি।প্রায় প্রতিদিনই স্বপ্নে খেতে দেখি।মাঝে মাঝে ঘুমের ভিতর হাত,পা ঝাকে।মাসনূন আমল করে ঘুমাই।নামাজ,পর্দা সবই আলহামদুলিল্লাহ করি।প্রায় ৩ বছর রুকিয়াও করেছি।রাকী দেখিয়েছি।কিন্তু সমস্যা কমছে না।

একজন হুজুরের সন্ধান পেয়েছি।উনার ব্যাপারে ভালো শুনেছি।অনেকে নাকি উপকার পায়।উনি ইমাম,মুফতি।নিজের মাদ্রাসা রয়েছে।উনার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি উনি চিকিৎসার সময় রোগীর বয়স,মায়ের নাম,বাবার নাম জিজ্ঞেস করে।তাবিজ প্রয়োজন হলে গোসলের সাথে বা পানিতে ভিজিয়ে খেতে দেয়।তদবির,ইস্তেখারার মাধ্যমে নাকি সমস্যা আছে কিনা বলে দেয়।উনার সামনে পর্দা করে যেতে হয়।

১।আমার প্রশ্ন হলো এই হুজুরকে দেখানো যাবে কিনা?

২।তাবিজ কুরআন সূন্নাহ মোতাবেক দেয় কিনা কিভাবে বুঝবো?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

আপনাকে এবং আপনার আম্মুকে সর্বপ্রথম  ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-10103 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত হুজুরের কাছ থেকে রুকইয়াহ নিতে পারবেন।
(২) হুজুরের চালচলন ও পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে যখন নিশ্চিত হবেন যে, তিনি কুরআন সুন্নাহ দ্বারাই রুকইয়াহ করবেন, কেবল তখনই উনার কাছ থেকে রুকইয়া নিবেন। কিন্তু যদি পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে কোনো কিছুই বুঝা সম্ভব না হয়, তাহলে হুজুরকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবেন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...