আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
edited by
আপনাদের দেওয়া সকল প্রশ্নের উত্তর সকল মাজহাবের লোকজন এমনকি আহলে হাদীস অনুসারীরাও কি গ্রহণ করতে পারবে? দয়া করে জানাবেন।

আল্লাহ আপনার এ কষ্টের উত্তম প্রতিদান দিক।

জাজাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (547,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে 
আমরা প্রত্যেক মাস'আলায় প্রথমে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে মাস'আলা বলে দেওয়ার চেষ্টা করি।যদি কোথাও আমরা কুরআন ও সহিহ সুন্নাহ থেকে মাস'আলা বলে দিতে অক্ষম হয়ে যাই তখন আমরা ফুকাহায়ে কেরামদের ইজতেহাদের শরণাপন্ন হই।

যেটি ছাহাবায়ে কেরামদেরও কাজ ছিলো।
সাহাবায়ে কিরাম যারা সরাসরি রাসূল সাঃ এর কাছে ছিলেন তাদের জন্য রাসূল সাঃ এর ব্যাখ্যা অনুসরণ করা ছিল আবশ্যক। এছাড়া কারো ব্যাখ্যা নয়। কিন্তু যেই সকল সাহাবারা ছিলেন নবীজী সাঃ থেকে দূরে তারা সেই স্থানের বিজ্ঞ সাহাবীর মাযহাব তথা মত অনুসরণ করতেন। যেমন ইয়ামেনে হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ এর মত তথা মাযহাবের অনুসরণ হত। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদের অনুসরণ করতেন ইরাকের মানুষ।

রাসূল সাঃ যখন মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ কে ইয়ামানে পাঠাতে মনস্ত করলেন তখন মুয়াজ রাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন-“যখন তোমার কাছে বিচারের ভার ন্যস্ত হবে তখন তুমি কিভাবে ফায়সাল করবে?” তখন তিনি বললেন-“আমি ফায়সালা করব কিতাবুল্লাহ দ্বারা”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি কিতাবুল্লাহ এ না পাও?” তিনি বললেন-“তাহলে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাত দ্বারা ফায়সালা করব”। রাসূল সাঃ বললেন-“যদি রাসূলুল্লাহ এর সুন্নাতে না পাও?” তখন তিনি বললেন-“তাহলে আমি ইজতিহাদ তথা উদ্ভাবন করার চেষ্টা করব”। তখন রাসূল সাঃ তাঁর বুকে চাপড় মেরে বললেন-“যাবতীয় প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি তাঁর রাসূলের প্রতিনিধিকে সেই তৌফিক দিয়েছেন যে ব্যাপারে তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট”। {সূনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৩৫৯৪, সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-১৩২৭, সুনানে দারেমী, হাদিস নং-১৬৮, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২০৬১}

এই হাদীসে লক্ষ্য করুন-রাসূল সাঃ এর জীবদ্দশায় হযরত  মুয়াজ রাঃ বলছেন যে, আমি কুরআন সুন্নাহ এ না পেলে নিজ থেকে ইজতিহাদ করব, আল্লাহর নবী বললেন-“আল হামদুলিল্লাহ”। 
,
মাযহাব সংক্রান্ত জানুনঃ 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আমরা ফুকাহায়ে কেরামদের ইজতেহাদ উল্লেখের ক্ষেত্রে ফিকহে হানাফিকে অগ্রগণ্য রাখি।
কারন আমাদের IOM তথা ইসলামিক অনলাইন মাদ্রাসার অধিকাংশই ফিকহে হানাফি অনুসরণ করে থাকেন।
,  
ভিন্ন মাযহাবের কেউ,বা আহলে হাদিসদের কেউ তারা তাদের মাযহাবের কারো নিকট থেকে মাস'আলা সংগ্রহ করবেন। এটাই স্বাভাবিক। 

তবে আমাদের এখান থেকে সকল মাযহাবের অনুসারীগণ মাস'আলা সংগ্রহ করতে পারবেন।কেননা আমরা ইখতেলাফি মাস'আলার ক্ষেত্রে ভিন্ন মাযহাব তুলে ধরি। এবং সবাইকে যার যার মাযহাব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকি।
,
এক্ষেত্রে আহলে হাদীস গনও এখান থেকে মাসআলা সংগ্রহ করতে পারবেন।
কারন কোনো মাসয়ালাতে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ থাকলে আমরা সেটিও উল্লেখ করি,এবং তাদেরকে সেই মত অনুযায়ী আমল করার কথা বলে থাকি।       
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...