আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
881 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
শুনেছি দুরুদ শরিফ অনেক প্রকার আছে,কোন দুরুদ শরিফ কখন পাঠ করলে বেশি সওয়াব হবে। এবং... বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর কোন দুরুদ শরিফ বেশি বেশি  পাঠ করার কথা বলেছে? বিস্তারিত একটু বুঝিয়ে বললে উপকৃত হব

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

সর্বোত্তম দুরুদ হল দুরুদে ইবরাহিমী।
যা আমরা নামাযের শেষ বৈঠকে পড়ি।
কা'ব ইবনে উজরা রাযি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দুরুদ শরীফ পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, যখন.....
وَعَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ كَعْبِ بن عُجْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ عَلِمْنَا كَيْفَ نُسَلِّمُ عَلَيْكَ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجيدٌ . اَللهم بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجْيدٌ» . متفقٌ عَلَيْهِ
........নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (একদা) আমাদের নিকট এলেন। আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রসূল! আঁপনার প্রতি কিভাবে সালাম পেশ করতে হয় তা জেনেছি, কিন্তু আঁপনার প্রতি দরূদ কিভাবে পাঠাব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলোঃ- ‘আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’
সহীহ বুখারী-৫৯৯৬

(২)
হযরত তোফায়েল ইবন উবাই ইবন কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন,আমি জিজ্ঞেস করলাম,হে আল্লাহর রাসূল! আমি আঁপনার প্রতি অধিকহারে দরূদ পড়তে চাই, অতএব আমার দু‘আর মধ্যে আঁপনার দরূদের জন্য কতটুকু অংশ রাখব? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও।কা‘ব (রা:) বলেন, আমি বললাম,এক চতুর্থাংশ? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে যদি তুমি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম,অর্ধেক? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। কা‘ব (রা:) বলেন, আমি বললাম, তাহলে দুই তৃতীয়াংশ? তিঁনি বললেন : তুমি যতটুকু চাও। তবে তুমি যদি বেশি পড় তা তোমার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, আমার দু‘আর পুরোটা জুড়েই শুধু আঁপনার দরূদ রাখব। তিঁনি বললেন : তাহলে তা তোমার ঝামেলা ও প্রয়োজনের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করা হবে।[তিরমিযী : ২৬৪৫ ও হাকেম : ৭৬৭৭]

(৩)
আবূ মাসঊদ বদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
وَعَنْ أَبي مَسعُودٍ البَدرِي رضي الله عنه، قَالَ: أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَنَحنُ في مَجْلِسِ سَعدِ بن عُبَادَةَ رضي الله عنه، فَقَالَ لَهُ بَشْيرُ بْنُ سَعدٍ رضي الله عنه : أَمَرَنَا الله تَعَالَى أَنْ نُصَلِّيَ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ، فَكَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، حَتَّى تَمَنَّيْنَا أَنَّهُ لَمْ يَسْأَلْهُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْت عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، إنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَالسَّلاَمُ كَمَا قَدْ عَلِمْتُمْ» . رواه مسلم
তিনি বলেন, আমরা সায়াদ ইবনে উবাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মজলিসে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এলে। বাশীর ইবনে সা‘আদ তাঁকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রসূল! মহান আল্লাহ আমাদেরকে আপনার প্রতি দরূদ পড়তে আদেশ করেছেন, কিন্তু কিভাবে আপনার উপর দরূদ পড়ব?’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরুত্তর থাকলেন। পরিশেষে আমরা আশা করলাম, যদি (বাশীর) তাঁকে প্রশ্ন না করতেন (তো ভাল হত)। ক্ষণেক পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা বলো, ‘আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। অবা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বা-রাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম। ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।’
আর সালাম কেমন, তা তো তোমরা জেনেছ।”
সহীহ মুসলিম-৪০৫, তিরমিযী-৩২২০,নাসায়ী ১২৮৫,১২৮৬,আবূ দাউদ ৯৭৯,আহমাদ ১৬৬১৯,১৬৬২৪, ২১৮৪৭,মুওয়াত্তা মালিক-৩৯৮
দারেমী ১৩৪।

(৪)
আবূ হুমাইদ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,
وَعَنْ أَبي حُمَيدٍ السَّاعِدِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْكَ ؟ قَالَ: «قُولُوا: اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَميدٌ مَجِيدٌ» . متفقٌ عَلَيْهِ
তিনি বলেন, লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমরা কিভাবে আপনার প্রতি দরূদ পেশ করব?’ তিনি বললেন, “তোমরা বলো, “আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আযওয়া-জিহি অযুর্রিয়্যাতিহি কামা স্বাল্লাইতা আলা আ-লি ইবরা-হীম, অবা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউ অআলা আযওয়া-জিহি অযুর্রিয়্যাতিহি কামা বারাকতা আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।”
সহীহুল বুখারী-২৩৬৯,৬৩৬০,মুসলিম-৪০৭,
নাসায়ী-১২৯৪,আবূ দাউদ-৯৭৯,ইবনু মাজাহ-৯০৫,
আহমাদ-২৩০৮৯,মুওয়াত্তা মালিক-৩৯৭।

(৫)
হযরত আওস ইবনে আউস (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ﺇﻥ ﻣﻦ ﺃﻓﻀﻞ ﺃﻳﺎﻣﻜﻢ ﻳﻮﻡ
ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ … ﻓﺄﻛﺜﺮﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ
ﻓﻴﻪ، ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺗﻜﻢ ﻣﻌﺮﻭﺿﺔ ﻋﻠﻲ …
নিশ্চয়ই জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোর অন্যতম। … সুতরাং সেদিন তোমরা আঁমার
উপর বেশি বেশি দরূদ পড়। নিশ্চয় তোমাদের দরূদ আঁমার কাছে পেশ করা হয়।
সুনানে আবু দাউদ,হাদিস:১০৪৭,মুসনাদে আহমদ,হাদিস,১৬১৬২,সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৯১০।
[হাদিসটির সনদ সহীহ]

(৬)
হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﺃﻛﺜﺮﻭﺍ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ
ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ، ﻓﻤﻦ ﺻﻠﻰ ﻋﻠﻲ
ﺻﻼﺓً ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻋﺸﺮﺍً .
তোমরা জুমার রাত ও জুমার দিনে আঁমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আঁমার উপর একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশবার রহমত
নাযিল করেন।
আসসুনানুল কুবরা,বায়হাকী ৩/২৪৯,ফাযাইলুল আওকাত,বায়হাকী- ২৭৭,আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নী ৩৭৯।
[সনদ হাসান পর্যায়ের।]

(৭)
অন্য হাদিসে শরীফে বর্নিত হয়েছে।
ﺃﻛﺜﺮﻭﺍ ﻋﻠﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻳﻮﻡ
ﺟﻤﻌﺔ، ﻓﺈﻥ ﺻﻼﺓ ﺃﻣﺘﻲ ﺗﻌﺮﺽ
ﻋﻠﻲ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻳﻮﻡ ﺟﻤﻌﺔ، ﻓﻤﻦ ﻛﺎﻥ
ﺃﻛﺜﺮﻫﻢ ﻋﻠﻲ ﺻﻼﺓ ﻛﺎﻥ ﺃﻗﺮﺑﻬﻢ ﻣﻨﻲ
ﻣﻨﺰﻟﺔ .

প্রত্যেক জুমার দিনে তোমরা আঁমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ পাঠ কর। কারণ আঁমার উম্মতের দরূদ প্রতি জুমার দিন আঁমার কাছে পেশ করা হয়। আর তাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি আঁমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পাঠ করে সে অন্যদের তুলায় আঁমার বেশি নিকটবর্তী।
[সুনানে বায়হাকী ৩/২৪৯,সনদ হাসান]

(৮)
নির্ভরযোগ্য সনদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত।তিনি তার এক শাগরিদ যায়েদ বিন ওয়াহাবকে নসীহত করেছেন-
ﻳﺎ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ! ﻻ ﺗﺪﻉ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﻮﻡ
ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﺃﻥ ﺗﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻟﻒ ﻣﺮﺓ ﺗﻘﻮﻝ :
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺻﻞ ﻋﻠﻰ ﻣﺤﻤﺪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺍﻷﻣﻲ.
হে যায়েদ বিন ওয়াহাব! জুমার দিন তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এঁর প্রতি এক হাজার বার দরূদ পড়তে ভুল করো না। এভাবে বলবে-
ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺍﻟْﺄُﻣِّﻲِّ.
আততারগীব ওয়াত তারহীব,আবুল কাসেম আততাইমী ১৬৫৪,যিকরু আখবারি আসবাহান,আবু নুয়াইম ২/১৭১

(৯)
 হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন:
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلَّا رَدَّ اللهُ عَلَيَّ رُوحِي حتَّى أرُدَّ عَلَيْهِ السَّلامَ
“যে কেউ আঁমার প্রতি সালাম প্রেরণ করবে, আল্লাহ তা‘আলা আঁমার রূহ ফিরিয়ে দিবেন,তখন আঁমি তার সালামের উত্তর প্রদান করবো।”
[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২০৪১/বাইহাকী-সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১০২৭০]

(১০)
এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এঁর নিকট তাঁর রওজা মুবারকে দরূদ ও সালাম কী উপায়ে পৌঁছবে-এ সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে,রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন
إِنَّ لِلَّهِ مَلائِكَةً سَيَّاحِينَ فِي الأَرْضِ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِيَ السَّلامَ
“নিশ্চয় আল্লাহর অনেক বিচরণকারী ফেরেশতা রয়েছেন-যারা আঁমার নিকট আঁমার উম্মতের সালাম পৌঁছে দেন।”
[সুনানে নাসায়ী, ২য় খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা/ সহীহ ইবনে হাব্বান, হাদীস নং ৯১৪/ মুসতাদরাকে হাকিম, হাদীস নং ৪২১২]

(১১)
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন
مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ بَعِيْدًا أُعْلِمْتُه
“যে কেউ আঁমার রওযা শরীফের নিকটে এসে আঁমার প্রতি দরূদ পড়বে, আঁমি তা নিজেই শুনবো এবং যে দূর থেকে আঁমার প্রতি দরূদ পড়বে, তা আঁমাকে জানানো হবে।”
[আল-কাওলুল বাদী‘ লিল-সাখাবী, ৩য় খণ্ড, ৯২৯ পৃ্ষ্ঠা/ আল-লাআলী লিল-সুয়ূতী, ১ম খণ্ড, ২৮৩ পৃষ্ঠা/ ফাতহুল বারী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৩৭৯ পৃষ্ঠা]

(১২)
হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন।
وَصَلُّوا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلاتَكُمْ تَبْلُغُنِي حَيْثُ كُنْتُمْ
“আঁমার প্রতি দরূদ পড়ো।কেননা, তোমাদের দরূদ আঁমার নিকট পৌঁছে তোমরা যেখানেই থাকো।”
[মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, ২য় খণ্ড, ৩৭৫ পৃষ্ঠা/ মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৮৫৮৬ / তাবরানী কাবীর, হাদীস নং ২৮২৯]

(১৩)
হযরত আবু দারদা (রা:) থেকে বর্ণিত।
عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليه و سلم، رقم الحديث-1637)
 রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আঁমার উপর দরুদ পড়ে তখনই তা আঁমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা (রা:) বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-ইন্তিকালের পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিঁনি বললেন-হ্যাঁ!, কেননা আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।
ইবনে মাজাহ,হা/১৬৩৬,১৬৩৭,সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হা/৪৬৯,আল মুজামুল আওসাত,হা/৪৭৮০,সুনানে দারেমী,হা/১৫৭২,মুসনাদুল বাজ্জার,হা/৩৪৮৫,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা,হা/৫৭৫৯।
উলামায়ে কেরাম থেকে দুরুদ শরীফ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক বর্ণনাই বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।
মোটকথাঃ দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক প্রকার কামিয়াবি এবং সফলতা এই দুরুদ শরীফে বর্ণিত রয়েছে।
এবং স্বয়ং আল্লাহ পাকও দুরুদ শরীফ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তাই দুরুদ শরীফ পড়ার আ'মল করা প্রত্যেক মু'মিনের করা উচিৎ।

অাল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 220 views
0 votes
1 answer 200 views
...