জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো নারীদের ইমামতী করা মাকরুহে তাহরিমি।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/৫৯. কিতাবুল ফাতওয়া ২/২১৪)
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ [٤:٣٤]
পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন [সূরা নিসা-৩৪]
এছাড়া হাদীসে ইরশাদ হয়েছেঃ
عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: لا خیر فی جماعۃ النساء …الخ۔ (رواہ الإمام أحمد في مسند ۶؍۱۵۴، إعلاء السنن ۴؍۲۲۶)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন যে মহিলাদের জামাআতের মধ্যে কোনো খায়ের,ভালো নেই।
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ: لَقَدْ نَفَعَنِي اللَّهُ بِكَلِمَةٍ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَّامَ الجَمَلِ، بَعْدَ مَا كِدْتُ أَنْ أَلْحَقَ بِأَصْحَابِ الجَمَلِ فَأُقَاتِلَ مَعَهُمْ، قَالَ: لَمَّا بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَهْلَ فَارِسَ، قَدْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمْ بِنْتَ كِسْرَى، قَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً
আবূ বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত একটি বাণীর দ্বারা আল্লাহ জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) দিন আমার মহা উপকার করেছেন, যে সময় আমি সাহাবায়ে কিরামের সঙ্গে মিলিত হয়ে জামাল যুদ্ধে শারীক হতে প্রায় প্রস্তুত হয়েছিলাম। আবূ বাকরাহ (রাঃ) বলেন, সে বাণীটি হল, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এ খবর পৌঁছল যে, পারস্যবাসী কিসরা কন্যাকে তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছেন,তখন তিনি বললেন, সে জাতি কখনো সফল হবে না স্ত্রীলোক যাদের ইমাম হয়। [বুখারী, হাদীস নং-৪৪২৫]
,
মহিলারা প্রত্যেকে একাকী নামায আদায় করে নিবে। জামাত পড়বে না।
শুধু মহিলাদের জামাত মাকরুহে তাহরীমি। পড়লে নামায আদায় হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে মহিলা ইমাম পুরুষদের মতো সামনে দাড়াবেনা।
সে কাতারের মাঝে দাড়াবে।
,
ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৮৩ তে আছেঃ
,
فى رد المحتار(وَ) يُكْرَهُ تَحْرِيمًا (جَمَاعَةُ النِّسَاءِ) وَلَوْ التَّرَاوِيحَ فِي غَيْرِ صَلَاةِ جِنَازَةٍ (لِأَنَّهَا لَمْ تُشْرَعْ مُكَرَّرَةً) (رد المحتار-2/305)
সারমর্মঃ মহিলাদের জামাআত মাকরুহে তাহরিমি।
فإن فعلن تقف الإمام وسطہن
۔ (درمختار مع الشامي ۱؍۵۶۵ کراچی، ۲؍۳۰۵ زکریا، ۲؍۲۶۲ بیروت، ہدایۃ ۱؍۱۲۳، فتاویٰ رحیمیہ ۹؍۷۶، کتاب المسائل ۱؍۴۱۵)
সারমর্মঃ যদি তারা নামাজ এই ভাবেই পড়েই,তাহলে মহিলা ইমাম কাতারের মাঝে দাড়াবে।
وأما بیان من تجب علیہ الجماعۃ - إلی قولہ - فلا تجب علی النساء؛ فلأن خروجہن إلی الجماعۃ فتنۃ۔ (بدائع الصنائع ۱؍۳۸۴)
সারমর্মঃ মহিলাদের উপর জামাআত ওয়াজিব নয়।
কেননা তাদের জামাআতের জন্য বাহিরে যাওয়া ফিতনাহ।
.
বিঃদ্রঃ এই মাসয়ালার ক্ষেত্রে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে।
তারা পুরোপুরি জায়েজ বলেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।