আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
১.আমার ছোট বোন ভার্সিটি তে ঊঠার পর ওর হাতের ফোন টি নষ্ট হয়ে যায়,আর ক্লাসের খবরাখবর নেওয়া,মাঝে মাঝে অনলাইনে ক্লাস সহ বিভিন্ন প্রয়োজন এ স্মার্ট ফোনের প্রয়োজন পরে।ইতোপূর্বে ও ওর হাতে স্মার্ট ফোন ছিল কিন্তু ফোনে বইয়ের পিডিএফ পড়া আর ফেসবুকে চ্যাটিং করা ছাড়া ওর আর কোনো বদঅভ্যাস আমার চোখে পড়েনি।তাই আমি ওকে নির্দ্বিধায় নতুন আরেকটি স্মার্ট ফোন কিনে দেই। কিন্তু তার পর নজরে পড়ল ও অশালীন গান বাজনা দেখে।আমি অবশ্য সাথে সাথে ওকে অনেক নসীহা করি এবং বাসার ওয়াইফাই লাইন কেটে দেই।কিন্তু আম্মুর জন্য বাধ্য হয়ে আবারো ওয়াইফাই নিতে হয়।আর আমার পক্ষে ত ওকে পাহাড়া দেওয়া সম্ভব না।ও এখনো এসব দেখে কিনা আমি সিউর না।

১.যেহেতু সাংসারিক সকল ব্যয় ভার বহন করি এবং আমিই ফোন টি কিনে দিয়েছি,ও অশালীন কিছু দেখলে কি এর জন্য আমার গুনাহ হবে?যদি গুনাহ হয় তাহলে এক্ষেত্রে আমার কি করনীয় দয়া করে জানাবেন।

২.ও নিরিবিলি তে অন্য ঘরে গিয়ে ফোন ব্যবহার করলে বা কোনো ভাবে আড়াল করে ব্যবহার করলেই আমার শুধু সন্দেহ হয় ও মনে হয় খারাপ কিছু দেখছে,অন্তরে অন্যের সম্পর্কে এই বাজে চিন্তার কারনে কি আমার গুনাহ হচ্ছে?আর আমি শুনেছি কারো গোপন পাপ যাতে সমাজের অন্যকারো কোনো ক্ষতি হবে না শুধু ওই ব্যক্তি র ই ক্ষতি হবে,সেটা তার আর আল্লাহর মাঝে ছেড়ে দিতে হয়,এটা কি সঠিক?

৩.আমি ওর এই ব্যাপার আমার মায়ের সাথেও  শেয়ার করিনি,কারন এতে অন্যের পাপ প্রকাশ করার কারনে আমার আবার গুনাহ হয় কিনা।আমার কি উচিত আম্মুকে এই ব্যাপারটা জানিয়ে বাসার ওয়াইফাই আবারো কেটে দিতে বলা?অবশ্য ওয়াইফাই কেটে দিলেও ও ভার্সিটি থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে আসতে পারে।

৪.সর্বোপরি আমি আমার বোনের হেদায়েত এর জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি জানালে বিশেষ ভাবে উপকৃত হবো।

جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মোবাইল দিয়ে তার শরীয়াহ বিরোধী যাবতীয় কাজের দরুন আপনার গুনাহ হবে।
সুতরাং আপনি তার থেকে মোবাইল নিয়ে নিবেন। 

আপনি আপনার বোনের হেদায়েত এর জন্য বাসায় তালিমের ব্যবস্থা করতে পারেন,নিজ এলাকাতে তাবলীগের মহিলাগন যেই বাসায় তালিম করে,সেখানে তালিমের জন্য তাকে পাঠাতে পারেন।
মাহরাম সহকারে তাকে মাস্তুরাত জামাতে পাঠাতে পারেন।

আপনি হিকমতের সহিত তাকে ধারাবাহিক ভাবে,  ভালোভাবে বুঝানো অব্যাহত রাখবেন।
 জাহান্নামের শাস্তির বিষয়দি বর্ণনা করবেন।  
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বাড়িতে প্রত্যাহ তালিমের ব্যবস্থা করুনঃ

ফাজায়েলে আমল’ 

এটি তাবলিগ জামাতের লোকেদের মধ্যে অধিক পরিচিত ও ব্যাপক পঠিত একটি বই। নামাজ, রোজা , হজ, জাকাত জিকির, কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও সাহাবিদের জীবনীর সমন্বয়ে রচিত বইটি।

তাবলিগী মেহনতে অংশগ্রহণকারীদের তালিম-তরবীয়তের জন্য তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ. উপর্যুক্ত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে একটি বই রচনার তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ফলে তিনি ভাতিজা শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা যাকারিয়াকে রহ. এরকম বই লেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

আরো কিতাবের নাম জানুনঃ
,
এবং হক্কানী শায়েখদের আখেরাত,জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত রেকর্ড কৃত বয়ান তাকে শুনাবেন।

জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...