আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া-রহমাতুল্লহ উস্তাদ। আমি একজন ত্বলিবুল ইলম।আর একজন ত্বলিবুল ইলম হিসেবে আমার উচিত ইলম অনুযায়ি আমল করা।আইওএমের সুবাধে আমি অনেক কিছুই শিখছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু দেখা যায় আমি আমল করতে পারছিনা।ইলম অনুযায়ি আমল না করার জবাব দেওয়া ছাড়া আল্লাহ ছেড়ে দিবেননা।আমি নিজের ভেতরে গুমরে আছি।

১) আমি জানি ফজরের সলাত কতোটা গুরত্বপূর্ণ, প্রতিদিন রাতের আমল করে ঘুমিয়ে যায়,নিয়তও করি, এলার্ম ও দিয়েআ রাখি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি একটু জাগি না।তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়তে ঘুমায় অথচ ফজর-ই পড়তে পারিনা।তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য আমি বিতর সলাতও বাকি রেখে দেয়।সকালে যখন উঠি তখন অনেক কান্না পাই।অনেক চেষ্টা করেছি আমি  রাতে ১০.৩০ এ ঘুমাতে যায় আর সকালে ৭টাই জাগ্রত হয়।এর মাঝে আমি মরার মতো ঘুম,কোনো হুশ-ই থাকেনা।আমাকে কিছু নসীহত করুন।আমি আর পারছিনা এভাবে নিজের ধ্বংস দেখতে

২))এটার কারণও নামাজ মিস হতে পারে আর তা হলো টিভি দেখা।বাসায় ২রুম,তো এক রুমে টিভি চলে।বসার মতো যে জায়গা সেখানেই সিরিয়াল চলে।আমি নিজে আগে টিভি দেখতাম না।কিছুদিন যাবত বাসার সবার সাথে বসতে গিয়ে টিভি দেখা হয়ে যায়।আমি এটা থেকেও পরিত্রান পেতে চায়।আল্লহর কাছে দোয়া করছি।এব্যাপারেপ আমাকে একটু সর্তক করুন দয়া করে।

৩) আমার দোআ অনেক কম কবুল হয়, হয়তো গুণাহের কারণে।

৪) আমার দাদার ভাইয়ের ছেলে মানে আমার চাচা মারা গেছেন।তার পরিবারে তার মা, স্ত্রী আর কন্যা আছেন।এখন তার সম্পদে আমার বাবারা নাকি কিছু পরিমান সম্পদ পাবেন যেহেতু যিনি মারা গেছেন তার ভাই নেই।এখন এই সম্পদের যে অংশ আমরা পাবো সে পরিমান যদি আমরা নিতে চায় তাহলে কি সেটা হালাল হবে। ইয়াতিমের হক খাওয়া হবে কি??? কারণ তাদের পরিবারের সকল সদস্যের অংশ বাদে আমার বাবারা যা পাবে সেটিকু নিবে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ ترك الصَّلَاة» . رَوَاهُ مُسلم

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মু’মিন) বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।

সহীহ : মুসলিম ৮২, আবূ দাঊদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিযী ২৬২০, ইবনু মাজাহ্ ১০৭৮।

আরেক হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি তা যথাযথভাবে পালন করবে, আর অবহেলাহেতু এর কোনোটি পরিত্যাগ করবে না, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার করেছেন। আর যে ব্যক্তি তা (যথাযথভাবে) আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহর কাছে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন কিংবা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১৪২০]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজ আদায় না করা মারাত্মক অপরাধ।

পরামর্শঃ-
ফজরের নামাজের জন্য উঠার জন্য রাতে আপনি আরো তারাতারি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।যদি চেষ্টা করেও না পারেন,তাহলে দিনে ঘুমানোর একটা টাইম বের করবেন।জোহরের পর বা পূর্বে কিছু সময় ঘুমানো সুন্নত।সুতরাং সুন্নতের উপর আমল করে কাইলুলাহ তথা দিনের মধ্যভাগে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে ফজরে উঠতে সুবিধা হবে,ইনশাআল্লাহ। 

আপনি মোবাইলে ফজরের টাইমে প্রতি ৪/৫ মিনিট পর পর হিসেবে একাধিক এলার্ম সেট করবেন।
মোবাইল কাছে রেখে ঘুমাবেননা,ঘরের মধ্যে এমন দূরে রাখবেন,যাতে এলার্ম বন্ধ করার জন্য আপনাকে উঠতে হয়।

নামাজে ডেকে দেয়ার জন্য আপনি আপনার রুমের/বাসার অন্যান্য সদস্যদেরকে বলে রাখবেন,যাতে তারা জোড় করে হলেও আপনাকে জাগিয়ে দেন।

ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।

(০২)
টেলিভিশন দেখা যে নাজায়েজ,এ সংক্রান্ত বিষয় আগে মন থেকে বুঝতে হবে।

প্রয়োজনে হক্কানী শায়েখদের জান্নাত জাহান্নামের বয়ান শুনবেন,মাস্তুরাত জামাতে যেতে পারেন।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।

নেক লোকদের সংশ্রবে থাকবেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
দোয়া কবুল হওয়ার বেশকিছু শর্ত ও পদ্ধতি  রয়েছে। সেই শর্ত ও পদ্ধতি মেনে দোয়া করবেন,তাহলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে মাইয়্যিত আপনার বাবার চাচা হয়।
সেই হিসেবে মাইয়্যিতের ভাইয়ের ছেলে আপনার বাবা।

তাই ওয়ারিশ হিসেবে যদি মাইয়্যিতের শুধুমাত্র 
মা, স্ত্রী, কন্যা,আর ভাইয়ের ছেলে (আপনার বাবা) থাকে।
আর কেহই না থাকে।

সেক্ষেত্রে আপনার বাবাও কিছু সম্পদ পাবে।
এখানে এতিমের হক খাওয়া হবেনা,কেননা শরীয়ত এখানে এমনটিই বলেছে।
এটি আপনার বাবার প্রাপ্য হক।

এক্ষেত্রে মাইয়্যিতের মেয়ে তার বাবা অর্ধেক সম্পদ পাবে।
মাইয়্যিতের মা ৬ ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
মাইয়্যিতের স্ত্রী আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।

আর মাইয়্যিতের ভাইয়ের ছেলে (আপনার বাবা) অবশিষ্ট সম্পদ পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...